সিরিয়ায় ১৪ আরোহীসহ রাশিয়ার গোয়েন্দা বিমান নিখোঁজ

230

সিরিয়ার আকাশে থাকা অবস্থায় ১৪ জন আরোহীসহ রাশিয়ার একটি সামরিক গোয়েন্দা বিমান রাডারের পর্দা থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে।  মঙ্গলবার ভোররাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। বিমানটি যখন নিখোঁজ হয় তখন সিরিয়ার লক্ষ্যস্থলগুলোর ওপর ইসরায়েলের বিমান ও ফ্রান্সের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছিল বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি ইলেকট্রনিক নজরদারির জন্য ব্যবহৃত একটি আইএল-২০ টার্বো-প্রপ বিমান ছিল। সিরিয়ার উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ার স্থানীয় সময় গত সোমবার রাত প্রায় ১১টার দিকে বিমানটি নিখোঁজ হয়। ওই সময় বিমানটি ওই এলাকায় রাশিয়ার একটি বিমান ঘাঁটিতে ফিরছিল। ঘাঁটির কাছাকাছি থাকা অবস্থায়ই বিমানটি নিখোঁজ হয়। মস্কো থেকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমানটি লাতাকিয়া প্রদেশে অবস্থিত রাশিয়ার হিমেইমিম বিমান ঘাঁটিতে ফেরার সময় রাডারের দৃশ্যপট থেকে উধাও হয়ে যায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাতে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা টিএএসএস জানিয়েছে, বিমানটি তখন সিরিয়ার উপকূল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরের ওপরে ছিল। চারটি ইসরায়েলি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান লাতাকিয়া প্রদেশে সিরিয়ার স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর সময় ফ্লাইট কন্ট্রোল রাডার থেকে আইএল-২০ বিমানটির চিহ্ন অদৃশ্য হয়ে যায়, বিবৃতিটির তুলে ধরা উদ্ধৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে। একই সময় রাশিয়ার এয়ার কন্ট্রোল রাডার সিস্টেম ওই এলাকায় অবস্থানরত ফ্রান্সের ফ্রিগেট উভার্নিয়া থেকে ছোঁড়া রকেট শনাক্ত করে। নিখোঁজ বিমানের ১৪ আরোহী পরিণতি কী হয়েছে তা অজানা রয়ে গেছে এবং হিমেইমিম ঘাঁটি থেকে একটি উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। ওই সময় লাতাকিয়াতে ‘শত্রু ক্ষেপণাস্ত্রের’ হামলা হলে সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। অনবধানতাবশত সিরিয়ার বিমান বিধ্বংসী আর্টিলারি বাহিনীর গুলিতে রুশ বিমানটি ভূপাতিত হয়েছে বলে ধারণা ওয়াশিংটনের, বলেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।