সিনিয়রদের পথপ্রদর্শক মেনে, এগোতে চান সোহান

198

জিম্বাবুয়ে সফরে জন্য চূড়ান্ত হওয়া বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলটি পুরোপুরি তারুণ্য নির্ভর। দলে নেই সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। অবসরে গেছেন তামিম ইকবাল। অনেক আগে থেকেই এই সংস্করণে নেই মাশরাফি বিন মুর্তজা। এই সিনিয়র ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাঁক বদলের নায়ক। তাদের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেট এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছে, যেখানে হারার আগেই হেরে যায় না দল।আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সোহান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে আমাদের সিনিয়র যারা আছেন, তাদের অবদান, তাদের কথা এক-দুইটা কথায় শেষ করতে পারবো না। এখন সব কিছু প্রক্রিয়ার ভেতরে আছে। আমাদের জন্য এটা একটা সুযোগ সামনে এগিয়ে নেওয়ার। তারা বাংলাদেশ দলকে একটা জায়গায় নিয়ে এসেছেন। আমরা যারা জুনিয়র আছি বা খেলছি তাদের দায়িত্ব পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়া। এটা সবার জন্য সুযোগ। মূল বিষয় হচ্ছে আমাদের দলগতভাবে ভালো খেলতে হবে। সেটা করতে পারলে ভালো হবে।’

যে কোনো দলের মূল চালিকাশক্তি দলের ড্রেসিংরুম। সতীর্থদের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা ও দায়িত্ব বন্টন চালিকাশক্তির বড় উৎস। ড্রেসিংরুমে এমন স্বাস্থ্যকর পরিবেশ আছে বলেই বাংলাদেশের মাঠের পারফরম্যান্স সহজ হচ্ছে। দল ব্যর্থ হলেও সেই দায়ভার ভাগাভাগি হচ্ছে। সামনে এই ড্রেসিংরুমের পরিবেশ আরও মজবুত, আরও উন্নত করার কথা বলেছেন সোহান, ‘শেষ কয়েক বছরে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম অনেকটাই উন্নতি করেছে। আমার কাছে মনে হয় এই জিনিসটা আমরা যেন আরও ভালোমতো করতে পারি… সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি যে অবদান এটা এক-দুইটা কথায় বলা যাবে না। পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার আগে আমরা আরও ভালোভাবে কী করতে পারি, যে জিনিসগুলোর ঘাটতি আছে, সেগুলো কীভাবে পূরণ করতে পারি সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’

মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব পেয়েছেন সোহান, ক্যারিয়ারের শুরুতে যার নেতৃত্বে খেলেছিলেন তিনি। তার থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা এবং বাকি সিনিয়রদের সংস্পর্শে নিজেকে গড়ে তোলা সোহান নিজের সবটুকু উজার করে দিতে চান ২২ গজে। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার যখন শুরু হয়, তখন রিয়াদ ভাই ছিলেন আমার অধিনায়ক। তখন থেকে তার কাছ অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের যে পাঁচজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছেন, মাশরাফি ভাই হয়তো এখন দল নেই। তাদের সবার কাছ থেকেই শেখার অনেক কিছু আছে। একটা ব্যাপার কী, একেকজন একেক রকম। অবশ্যই তাদের কাছ থেকে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, আশা করি সম্মিলিতভাবে এর ফল দেখাতে পারবো।’  তাদের সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে। স্বাভাবিক কথাবার্তাই হয়েছে, বিশেষ কিছু না। তাদের সঙ্গে অনেক দিন একসঙ্গে খেলেছি। সবার নেতৃত্বেই খেলা হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে নিজের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করবো।’– যোগ করেন নতুন অধিনায়ক।

 

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম