সিডনি টেস্টে ৩৮৬ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া

189

ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন কুলদীপ যাদব। অস্ট্রেলিয়ার ছয় উইকেটের অর্ধেকই তাঁর। শনিবার চতুর্থ টেস্টের তৃতীয় দিনে চায়ের বিরতির ঘন্টাখানেক পরে মন্দ আলোর জন্য খেলা বন্ধের সময় ছয় উইকেটে ২৩৬ তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। যার মধ্যে তিন উইকেটই নিয়েছেন কুলদীপ। সঙ্গ দিচ্ছেন রবীন্দ্র জাদেজাও। জোড়া স্পিনের ধাক্কায় রীতিমতো চাপে অস্ট্রেলিয়া। চায়ের বিরতির মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল পাঁচ উইকেট। তখন দুই স্পিনার নিয়েছিলেন দুটো করে উইকেট। চায়ের বিরতির পরে প্রথম ওভারেই অজি অধিনায়ক টিম পেনকে (৫) বোল্ড করেন কুলদীপ। ১৯৮ রানে ছয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ৩৮ রান যোগ করেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব (২৮) ও প্যাট কামিংস (২৫)। মন্দ আলোতে খেলা বন্ধের সময় ভারতের থেকে ৩৮৬ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। হাতে রয়েছে চার উইকেট। শুক্রবার সাত উইকেটে ৬২২ তুলে প্রথম ইনিংস ছেড়ে দিয়েছে ভারত। ফলো-অন বাঁচানোর জন্যও তাই চারশোর উপরে তুলতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তার জন্য অস্ট্রেলিয়ার এখনও প্রয়োজন ১৮৭ রান। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ২-১ এগিয়ে থাকা ভারতের নিয়ন্ত্রণেই এখন সিডনি টেস্ট। আজ শনিবার সকালে বিনা উইকেটে ২৪ নিয়ে শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সকালের সেশনে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও উসমান খাজা ইতিবাচক ভাবে শুরু করেছিলেন। প্রথম উইকেট পড়ে ১৭৭ রানে। চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবের বলে চেতেশ্বর পূজারাকে ক্যাচ দেন খাজা (২৭)। লাঞ্চের সময় ৪০ ওভারে এক উইকেটে ১২২ তুলে ফেলেছিল তারা। মার্কাস হ্যারিস ব্যাট করছিলেন ৭৭ রানে। সঙ্গে ছিলেন তিন নম্বরে নামা মার্নাস লাবুশানে (১৮)। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর দ্রুত তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। বাঁ-হাতি স্পিনার জাদেজার বলে মারতে গিয়ে ব্যাটের কাণায় লাগিয়ে বোল্ড হন হ্যারিস (৭৯)। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ১২৮ রানে। ১৪৪ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। চার নম্বরে নামা শন মার্শ (৮) ফেরেন জাদজার বলে। প্রথম স্লিপে ক্যাচ নেন অজিঙ্ক রাহানে। আট রানের মধ্যে ফের ঝটকা। দলীয় ১৫২ রানে ফিরলেন মার্নাস লাবুশানে (৩৮)। তিন নম্বরে নামা ডানহাতিকে ফেরালেন মোহাম্মদ শামি। শর্ট মিডউইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রাহানে। ১৫২ রানে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ উইকেট। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৪০ রান যোগ করেন ট্র্যাভিস হেড ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব।কুলদীপকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ট্র্যাভিস হেড (২০)।