সালমান শাহ উজ্জ্বল ধূমকেতু

811

কিছু মানুষ ক্ষণজন্মা থাকে। ঢাকাই ছবির সুপার হিরো সালমান শাহও সেরকমই একজন। চলচ্চিত্রে মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করে আবালবৃদ্ধবনিতা পর্যন্ত সবার মন কেড়েছেন তিনি। সালমান শাহকে বলা হতো ঢাকাই ছবির সাফল্যের বরপুত্র। তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক। রহমান, নাদিম, রাজ্জাক, সোহেল রানা, ফারুক, উজ্জল, জাফর ইকবাল, ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ জনপ্রিয় নায়কের যুগের পর ঢালিউডের আকাশে ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব ঘটে সালমান শাহর। তার অভিনয় স্টাইল, পর্দায় তার সপ্রতিভ উপস্থিতি আর নায়কোচিত ইমেজ আজও অন্য তারকাদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে আছে। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রুপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়।
শুরুতেই বিশাল সাফল্য দিয়ে সালমান বিস্মিত করেন সবাইকে। তারপর শুধুই ইতিহাস। সালমান শাহ অভিনীত অন্য ছবিগুলো হচ্ছে- ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেমযুদ্ধ’, ‘কন্যাদান’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’, ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘প্রিয়জন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘বুকের ভেতর আগুন’। সালমান শাহ মানে দর্শকের ভালোবাসা আর চলচ্চিত্রের জন্য আশীর্বাদ। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬। শুধুই সাফল্যের পথে হেঁটে যাওয়া। চলচ্চিত্রের আকাশে ধূমকেতুর মতো এখনো জ¦ল জ¦ল করছেন চির অম্লান সালমান শাহ।