সানরাইজার্স হায়দরাবাদে এবার আফগান জয়গান

519

অচেনা মঞ্চ, কঠিন সব প্রতিপক্ষ—এমন পরিস্থিতিতে ব্যর্থ হওয়ার ভয় থাকে বেশি। কিন্তু হাঁস কি কখনো পানিকে ভয় পায়? হোক সেটি পুকুর, নদী বা সমুদ্র। কিংবা হোক সেটা দেশে বা দেশের বাইরে। আফগানিস্তানের স্পিনার রশিদ খানের বেলায়ও এটা সত্যি। জাত স্পিনার তিনি। যেখানে যে পরস্থিতিতেই হোক, নিজের কাজটা করতে পারেন ঠিকভাবেই। এবারের আইপিএলে নতুন হলেও টুর্নামেন্ট মাতাচ্ছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই বোলার। তাঁর স্বদেশি সতীর্থ মোহাম্মদ নবি অতটা ভালো করতে পারেননি। তবে যা করেছেন তাতে খুশি তাঁর দল।

এ পর্যন্ত খেলা ৭ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। ১৯.৫০ গড়ে উইকেট নেওয়া এই লেগ স্পিনার হায়দরাবাদের কোচ মুত্তিয়া মুরালিধরেনর আশাকেও ছাড়িয়ে গেছেন, ‘তারা খুব ভালো। তারা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সঙ্গে খুব বেশি খেলেনি, ধীরে ধীরে শিখবে। এই মুহূর্তে দুজনেই খুব ভালো করেছে। আমরা যেমনটা আশা করেছিলাম ওরা তার চেয়ে বেশিই দিয়েছে। আমরা সন্তুষ্ট।’
রশিদ আর নবি ভালো করছেন বলে এমন কথা বলতে পারছেন। কিন্তু এটা তা নাও হতে পারত। এমন দুজন অনভিজ্ঞ বোলারকে কোন ভিত্তিতে দলে নিয়েছিল হায়দরাবাদ? এর উত্তরে মুরালিধরন বলেছেন, ‘তাদের দেশ কেমন খেলে এটা বিবেচনা করিনি আমরা। এই দুজন বিপিএল, পিএসএলসহ বিভিন্ন লিগে ভালো খেলেছে। এটাই আমরা বিবেচনা করেছি।’
আইপিএলে রশিদ-নবির পারফরম্যান্সের প্রভাব আফগান দলেও পড়বে বলে মনে করেন মুরালি, ‘একটা টেস্ট না খেলা দেশের খেলোয়াড় হয়েও তাদের বিশ্বের সেরা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলাটা আফগান দলকেও প্রেরণা জোগাবে। এর মানে দাঁড়ায় দেশটিতে এমন সামর্থ্যবান খেলোয়াড় আছে। মূল বিষয় হচ্ছে অবকাঠামো গড়ে তোলা। আফগানরা এই অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ম্যাচেও কাজে লাগাবে।’