Home চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাত বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুল পড়ুয়ারা জমিয়েছে পাঁচ কোটি….

সাত বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুল পড়ুয়ারা জমিয়েছে পাঁচ কোটি….

299

সাত বছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সঞ্চয় জমা হয়েছে পাঁচ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ২০ হাজার ৫৫৮ জন শিক্ষার্থীর হিসাবে এ সঞ্চয় হয়েছে। স্কুলশিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সুবিধা, তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবার সঙ্গে পরিচিত করানো ও সঞ্চয়ের মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২ নভেম্বর স্কুল ব্যাংকিং চালুর নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সাল থেকে শিক্ষার্থীরা টাকা জমা রাখার সুযোগ পায়। সে নির্দেশনার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৭টি ব্যাংকে ২০ হাজার ৫৫৮ জন শিক্ষার্থী হিসাব খুলেছে। এসব হিসাবে জমা হয়েছে পাঁচ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এছাড়া বর্তমানে সারা দেশে স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। আর এসব হিসাবে জমার পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। হিসাব খোলা ও অর্থ জমার বেশিরভাগই হয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা।

কনফারেন্সের আয়োজকরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাংকিং সম্পর্কে জানিয়ে তাদের মধ্যে সঞ্চয়ের মানসিকতা তৈরি করা, জীবনের শুরুতেই সঞ্চয়ের স্পৃহা ও অভ্যাস তৈরি করে সঞ্চয়ের সুফল সম্পর্কে জানানো এ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।

সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের টাউন ক্লাব মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ২৭টি বিদ্যালয়ের ২৭০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক বলেন, এ জেলায় লক্ষাধিক স্কুলশিক্ষার্থী রয়েছে। সব শিক্ষার্থীকে ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনা গেলে স্কুল ব্যাংকিংয়ের অর্থ দিয়েই অনেক কিছু করা সম্ভব।

শিক্ষার্থীদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় আজ জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাংকিং ও সঞ্চয়ের মনোভাব সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের মধ্যে বই পড়া, গবেষণায় আত্মনিয়োগ করা ও সর্বোপরি দেশের জন্য নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী শাখার মহাব্যবস্থাপক নূরুন নাহার বলেন, আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাবা-মা অথবা বৈধ অভিভাবকের সঙ্গে যৌথ নামে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। মাত্র ১০০ টাকা প্রাথমিক জমা দিয়ে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংক শাখায় এ হিসাব খোলা যায়। এ হিসাবে কোনো ফি বা চার্জ আরোপ করা হয় না। এমনকি ন্যূনতম স্থিতি রাখার বাধ্যবাধকতাও নেই।