সাকিব যে কারনে সেরা : মাশরাফি

312

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর এখন বিশ্রামে মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের মতো করেই ছুটি কাটাচ্ছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক। ছুটি শেষে ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শেষ রাউন্ড দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার পরিকল্পনা তাঁর। এই অবসরে ক্রিকেটে অবশ্য চোখ ঠিকই থাকছে মাশরাফির। বিসিএলে চোখ রাখছেন, মাঝেমধ্যে দেখা হচ্ছে আইপিএলও। আইপিএলে অবশ্য তাঁর মনোযোগ শুধু সাকিব আল হাসান আর মোস্তাফিজুর রহমানের দিকেই।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত মাত্র একটিই ম্যাচ খেলেছেন সাকিব-মোস্তাফিজ। পারফরম্যান্স মূল্যায়নের সময় যদিও হয়নি। তবে সাকিবকে নিয়ে উদ্বেগের কিছু না দেখলেও মোস্তাফিজকে নিয়ে একটু চিন্তিত মনে হলো মাশরাফিকে, ‘সাকিব অভিজ্ঞ আর হায়দরাবাদের ওকে লাগবেই। কিন্তু চিন্তাটা মোস্তাফিজকে নিয়ে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে অনেক পেসার খেলছে। এক-দুই ম্যাচ খারাপ করলে বাদ পড়ার আশঙ্কা।’
সাকিব-মোস্তাফিজের সূত্র ধরেই পুরোনো প্রসঙ্গটা উঠল নতুন করে, সিনিয়র-তরুণ খেলোয়াড়েরা একসঙ্গে জ¦লে উঠেছিলেন বলেই ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ধারাবাহিক সফল হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সিনিয়রদের পারফরম্যান্সে মরচে না ধরলেও তরুণ খেলোয়াড়েরা কেন ধারাবাহিক হতে পারছেন না? এক ম্যাচ ভালো খেলেন তো পাঁচ ম্যাচে অনুজ্জ্বল! মাশরাফি মনে করেন, তরুণদের ধারাবাহিক না হওয়ার কারণটা মনস্তাত্ত্বিক, ‘আত্মবিশ্বাস, বিষয়টা সিম্পল। ক্রিকেট গায়ের শক্তি দিয়ে খেলা যায় না। খেলতে হয় মাথা দিয়ে। মস্তিষ্কের ব্যবহার ভালো না হলে আপনি মাঠে ভালো খেলতে পারবেন না।’
কীভাবে মাঠে ধারাবাহিক দ্যুতি ছড়াতে হয়, সেটির উদাহরণ দিতে মাশরাফি সামনে নিয়ে এলেন সাকিবকে। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারের শুরুটা ছিল একেবারে সাদামাটা। সময়ের সঙ্গে সাকিব নিজেকে শুধু দলের অপরিহার্য সদস্য হিসেবেই প্রতিষ্ঠা করেননি, ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শীর্ষ আসনটা এক-দুই দিনের জন্য নয়, নিজের অধিকারে রেখেছেন বছরের পর বছর। হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় তারকা। কীভাবে সাকিব নিজেকে ‘নাম্বার ওয়ান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেটিই বিশ্লেষণ করলেন মাশরাফি, ‘সে তার মাথাটা ভালোভাবে কাজে লাগায়। মাঠে সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত নেয়। যেভাবে বল দ্রুত ব্যাটে আসে, ওর সিদ্ধান্তটাও তেমনই দ্রুত। সে সাহসী। কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধায় ভোগে না। যে সিদ্ধান্ত একবার নেয়, স্থির থাকে সেটিতেই। যেহেতু ব্যর্থ হওয়ার ভয় থাকে, সিদ্ধান্ত নিতে সাহস থাকতে হয়। সাকিব নিশ্চয়ই এক দিনে এখানে আসেনি। সে যখন দলের তরুণ খেলোয়াড় ছিল, তাঁরও ব্যর্থ হওয়ার ভয় ছিল। সাহসের সঙ্গে সেটি মোকাবিলা করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এগুলোই আমাদের বর্তমান তরুণ খেলোয়াড়দের দরকার। নিজের ওপর পূর্ণ আস্থা থাকতে হবে।’