সময়ের সঙ্গে কমে আসছে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব

52

আজকাল প্রায়ই আমরা তারকাদের বিচ্ছেদের খবর পেয়ে থাকি। সফল সম্পর্কের জন্য ধৈর্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এখনকার প্রজন্মের মধ্যে এমন বৈশিষ্ট্যের অভাব রয়েছে। অল্পতে রেগে যাওয়া, কিছু বলার আগে ভাবনা-চিন্তা না করে বলে দেওয়া, কোন সমস্যা নিয়ে সরাসরি কথা না বলে এড়িয়ে চলা এরকম অনেক রকম সমস্যা দেখা যায়। এছাড়াও সঙ্গীকে নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে বা পারিবারের সামনে কোন কিছু বলে অপমানিত বোধ করানো বা অবজ্ঞা করা। কথায় ঘৃণা প্রকাশ করা কিংবা সঙ্গীকে উপহাস করা। এসব ব্যবহার সঙ্গীর আত্মবিশ্বাস ও অনুভূতিকে নাড়া দেয়। সহজে বললে, পারস্পরিক সম্মান হারানো যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে একটু খেয়াল রাখা। কিন্তু শুধু যে তারকাদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটে এমন নয়। স্বাভাবিক মানুষের জীবনেও এখন সম্পর্কের স্থায়ীত্ব কমে যাচ্ছে। অল্পকিছুদিনেই ভেঙে যেতে দেখা যাচ্ছে সম্পর্ক। ভালো সম্পর্কের যেমন লক্ষণ থাকে, সম্পর্ক নড়বড়ে হওয়ারও লক্ষণ ফুটে ওঠে আমাদের নানান কর্মকাণ্ডে। তবে আমরা সেদিকে খেয়াল করি না। কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখলে সম্পর্কগুলো দীর্ঘ স্থায়ী হতে পারে। সত্তর আশি দশকের সময়ে যোগাযোগের জন্য টেলিফোন, চিঠি ছাড়া তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না। তারপরও সম্পর্কের স্থায়ীত্ব ছিল। আজকের ডিজিটাল যুগে এত মাধ্যম থাকার পরও মসেজ আদান প্রদানের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলার আগ্রহ কমে যাচ্ছে। যোগাযোগ করার জন্য বেশিরভাগ মানুষই সোশ্যালমিডিয়ার ওপর নির্ভর করছে। ফিট থাকতে নতুন বছরে তৈরি করুন নতুন রুটিনফিট থাকতে নতুন বছরে তৈরি করুন নতুন রুটিন যেকোনো সম্পর্কে উভয়েরই সমান চেষ্টার প্রয়োজন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো বাধার মুখোমুখি হলেই সমস্যার সমাধানে না যেয়ে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে নতুন সঙ্গী খোঁজার সহজলভ্যতাও সহজে সম্পর্ক ভাঙাকে উৎসাহিত করছে।