আরো শক্তিশালী হয়ে উঠল ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভার। বৃহস্পতিবার রাতে উড়িষ্যা উপকূল থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হলো পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম মিসাইল ‘পৃথ্বী-২’। উড়িষ্যার চাঁদিপুর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় জমি থেকে জমিতে আঘাত হানতে সক্ষম পৃথ্বী-২ ক্ষেপণাস্ত্র। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মিসাইলটি চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে একটি মোবাইল লঞ্চার থেকে ছোঁড়া হয়। বঙ্গোপসাগরে মিসাইলটির লক্ষ্য স্থির করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি সঠিক নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে কিনা, সেটা দেখার জন্য লক্ষ্যবস্তুর পাশেই মজুত ছিল নৌসেনার একটি জাহাজ। সেখানে মজুত সেনা ও ডিআরডিও-র শীর্ষ কর্মকর্তাদের আস্থা জয় করে নিখুঁতভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে পৃথ্বী-২। পাঁচশ থেকে একশ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়েও তিনশ ৫০ কিলোমিটারের আওতায় কোনো লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে পৃথ্বী-২। এর আগেও ২০১৮ সালে মিসাইলটির কর্মক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হয়। উল্লেখ্য, আগেই সেনার মিসাইল ফোর্স-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ঘাতক পৃথ্বী-২ ক্ষেপণাস্ত্র। মাঝে মধ্যেই ভাণ্ডারে থাকা মিসাইলগুলো পরীক্ষা করে দেখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘স্ট্রেটেজিক ফোর্সেস কমান্ড’ ও প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। এবারেও সেনাদের হাতে মজুত থাকা মিসাইলগুলোর মধ্যে একটির উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বালাকোট হামলার পর আপাতদৃষ্টিতে পরিস্থিতি শান্ত মনে হলেও উত্তেজনা তুঙ্গে ভারত-পাক সীমান্তে। যে কোনো সময় বেজে উঠতে পারে যুদ্ধের দামামা। সে কারণে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তান সীমান্তে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভাঁড়ারে মজুত অস্ত্রগুলোর কর্মক্ষমতা সে কারণে যাচাই করে দেখে নিচ্ছে ভারতীয় সেনারা।