সংলাপের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছে সিইসি : রিজভী

474

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বিরুদ্ধে সংলাপের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করার অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার দুপুরে এক স্মরণসভায় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে সুশীল সমাজের বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বললেন, শাসনতন্ত্র ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুশীল সমাজের সুপারিশ যতটুক গ্রহণ করা ততটুক ধরা হবে। প্রচলিত আইন ও শাসনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী তো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আপনি সংলাপের নামে যা করছেন সেটা দেশের মানুষ তামাশা বলে ধরে নেবে।ৃ এই নাটক না করলেই পারতেন। সিইসি কে এম নুরুল হুদার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, এই প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের লোক। আমরা মিথ্যা বলিনি, তার অনেক কর্মকা- তুলে ধরেছিলাম গণমাধ্যমের মাধ্যমে। একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সংলাপের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন তার কার্য্ক্রম শুরু করে। আগামি ১৬ ও ১৭ আগস্ট হবে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সংগঠনের প্রয়াত নেতা মুন্সি জামাল উদ্দিন আহমেদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল হয়। সভায় পুরো অগাস্ট মাসে বিএনপিকে কোনো কর্মসূচি করতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপি সদস্য সংগ্রহের দুই মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, জেলায় জেলায় আমরা কর্মসূচি দিয়েছি এতে জাতীয় নেতৃবৃন্দ যাচ্ছেন, পুলিশ আক্রমণ করছে, ভাংচুর করছে আর অসংখ্য তুফানকে লেলিয়ে দিয়েছেন তারা মারামারি করছে, সভা প- করে দিচ্ছে তারপরে পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। ১৫ অগাস্টে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের কথা উল্লেখ না করে রিজভী বলেন, আগস্ট মাসে মর্মান্তিক একটি ঘটনা হয়েছে- এটা শোকাবহ ঘটনা, আমরাও বলি। তার জন্য আওয়ামী লীগ শোক দিবস পালন করবে- সবই ঠিক আছে। আর সারা মাস কেউ কোনো অনুষ্ঠান করতে পারবে না- এটা হচ্ছে গুমের মনোবৃত্তি, এটা হচ্ছে, আমাদের সাংবাৎসরিক যে কর্মকা- সেখান থেকে একটি মাসকে অপহরণ করা। এটাই হচ্ছে বাকশালী মনোবৃত্তি এটাই হচ্ছে একক মনোবৃত্তি। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় স্মরণ সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু বক্তব্য রাখেন।