ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল : আইনমন্ত্রী

632

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের প্রতি দ্বিমত থাকলেও আমরা শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে শ্রদ্ধেয় আপিল বিভাগ যে যুক্তিতে তা বাতিল করেছেন তা যুক্তিযুক্ত না। তিনি বলেন, রায়ে যেহেতু আমরা সংক্ষুব্ধ, চিন্তা-ভাবনা করছি, রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) জানানো হবে কি-না। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্যে তিনি মর্মাহত বলেও উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য। তার যে বক্তব্যগুলো অপ্রাসঙ্গিক, তা এক্সপাঞ্জের উদ্যোগ নেব।

এ সংসদের অভিপ্রায় ছিল না কোনো সংশোধনী দ্বারা কারও বিরুদ্ধে কিছু করার। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বিচার বিভাগ ও সংসদ কোনো পাওয়ার কনটেস্টে নামেনি। রায়ের পর তড়িঘড়ি করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সভা করাকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করেন আইনমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর দ্বারা চাকরির নিশ্চয়তা রক্ষা করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করার চেষ্টাই হয়েছে। তিনি বলেন, রায়ে দ্বিমত থাকলেও আদালত ও বিচার বিভাগের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আমরা পাওয়ার কনটেস্টে (ক্ষমতার দ্বন্দ্ব) অবতীর্ণ হইনি।

রায়ের খুঁটিনাটি বিষয়ে আরও পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রিভিউ আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

গত ৩  জুলাই বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধন বাতিল করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ এক্সপাঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ‘সর্বসম্মতভাবে’ খারিজ করার রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি।