শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন নাদাল ও মারে

557

একেবারে সমীকরণ মেনেই এগোচ্ছে উইম্বলডনের পুরুষ এককের লড়াই। একপ্রান্তে রাফায়েল নাদাল ও অ্যান্ডি মারের সেমির লড়াইয়ের রাস্তা যেমন ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে, অন্যদিকে সম্ভাবনা বাড়ছে নোভাক জোকোভিচ ও রজার ফেদেরারের মধ্যে অপর সেমিফাইনালের। আগের দিন শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছেন নাদাল ও মারে। কাল করলেন জোকোভিচ ও ফেদেরার। ২০১১ সালের পর এই প্রথম শীর্ষ চার খেলোয়াড়কে শেষ ষোলোতে পেল উইম্বলডন। ফলে আগামি সোমবার উইম্বলডনের দর্শকদের জন্য একেবারে পোয়াবারো। এক দিনেই এ সময়ের সেরা চার তারকার খেলা দেখতে পারবেন তাঁরা, যে দিনটা ম্যানিক মানডে নামে পরিচিত উইম্বলডনে। রোববারের ছুটির পরদিন জমজমাট টেনিস! এদিন মারে মুখোমুখি হবেন ফ্রান্সের বেনোয়া পারের। নাদালের প্রতিপক্ষ লুক্সেমবার্গের জাইলস মুলার। জোকোভিচের প্রতিদ্বন্দ্বী ফরাসি তারকা আদ্রিয়োঁ মানারিনো। ফেদেরার খেলবেন ‘বেবি ফেদেরার’ খ্যাত বুলগেরিয়ার গ্রিগর দিমিত্রভের সঙ্গে।
টেনিসভক্ত হলে কাল হাতে টিভির রিমোট নিয়েই বসতে হবে আপনাকে। মারে আর নাদালের খেলা দুটি শুরু হবে একই সময়ে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া সাতটায়। জোকোভিচ ও ফেদেরারের ম্যাচ দুটিও একই সময়ে শুরু। বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে নয়টায়। কাল সার্ব তারকা জোকোভিচ হারিয়েছেন লাটভিয়ার আর্নেস্ট গুলবিসকে। ব্যবধান ৬-৪, ৬-১, ৭-৬ (৬-২)। ফেদেরার জয় পেয়েছেন জার্মান খেলোয়াড় মিশা জেরেভের বিপক্ষেÑ৭-৬, ৭-৬ ও ৬-৪-এ। উইম্বলডন আসছে মেনে চলেছে গত ১৪ বছরের ছক। এই দীর্ঘ সময় ধরে এখনকার শীর্ষ চারজনের বাইরে কেউ উইম্বলডন জেতেনি। ফেদেরার একাই জিতেছেন সাতবার, যার শুরু ২০০৩ সালে। জোকোভিচ তিনবার। মারে ও নাদাল দুবার করে। আর দুই ধাপ পেরোলে এবারের উইম্বলডনে সবচেয়ে জমাট লড়াইটার দেখা মিলবে। শেষ চারে সেরা চার পরস্পর মুখোমুখি! হবে কি এবার? আগে তো শেষ ষোলোর ম্যাচগুলো তাঁরা জিতুন। এর মধ্যে ফেদেরারই একটু কঠিন প্রতিপক্ষ পেয়ে গেলেন। সেটি মানছেন সুইস তারকা নিজেও, ‘এর আগে যতবার গ্রিগরের সঙ্গে খেলেছি, দেখেছি, সে আগেরবারের চেয়ে উন্নতি করেছে। মানসিকভাবে সে খুব শক্তিশালী। লড়াইটা কঠিনই হবে।’