শেষ বলের নাটকীয়তায় সিলেটের জয়, রানার হ্যাটট্রিকেও থামল না টাইটান্স

ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচের হতাশা কাটিয়ে উঠতে নাটকীয় এক জয় পেল সিলেট টাইটান্স। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে শেষ বল পর্যন্ত গড়ানো ম্যাচে এক রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় তারা। মেহেদী হাসান রানার হ্যাটট্রিকসহ চার উইকেটের ঝলক থাকলেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি নোয়াখালী। ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। মাত্র ৩৪ রানেই তিন ওপেনারকে হারায় তারা। শূন্য রানে সাইম আইয়ুব, ১৩ রানে জাকির হাসান ও ৯ রানে রনি তালুকদার ফিরে যান। দুই ওপেনারকে আউট করেন হাসান মাহমুদ, অন্য উইকেটটি নেন রানা। চাপের মুহূর্তে ইনিংস গুছিয়ে নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ও পারভেজ হোসেন ইমন। দুজনে মিলে গড়ে তোলেন ৮৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এর মধ্যেই ৩৬ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইমন। তবে ব্যক্তিগত ৬০ রানে জহির খানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর দ্রুতই ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
শেষ দিকে ১৩ বলে ১৬ রান করে আশা জাগান ইথান ব্রুক। তবে রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে গেলে সমীকরণ দাঁড়ায় শেষ বলে এক রান। সেই সময় সাব্বির হোসেনের ওয়াইডে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। শেষ বলটিতে এক রান নিয়ে সিলেটকে জয় এনে দেন সালমান ইরশাদ।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে নোয়াখালী। মাত্র ৯ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় তারা। প্রথম বলেই মাজ সাদাকাত আউট হন, এরপর খালেদ আহমেদের জোড়া আঘাতে ফেরেন হাবিবুর রহমান সোহান ও হায়দার আলী। চাপ সামলান অধিনায়ক সৈকত আলী ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজনের ৩২ রানের জুটি ভাঙে সৈকতের ২৪ রানে আউট হওয়ার মাধ্যমে। এরপর সাব্বির হোসেনের সঙ্গে ২৯ রান যোগ করেন অঙ্কন। সাব্বির ১৫ রান করে ফিরলে জাকের আলীর সঙ্গে বড় জুটি গড়েন তিনি। জাকের ১৭ বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেললেও শেষ পর্যন্ত ইনিংস ধরে রাখেন অঙ্কন। ৫১ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে ছিল তিন ছক্কা ও একটি চার। নোয়াখালী থামে ১৪৩ রানে।
সিলেটের হয়ে খালেদ আহমেদ একাই নেন চার উইকেট। দুটি উইকেট নেন সাইম আইয়ুব, আর একটি করে উইকেট পান মোহাম্মদ আমির ও রেজাউর রহমান রাজা। শেষ বলের উত্তেজনায় ভর করে বিপিএলে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেয় সিলেট টাইটান্স।