শুক্রবারের সহিংসতার পর আরও রোহিঙ্গা আসছেন বাংলাদেশে

238

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। শনিবার বাংলাদেশের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে এই দাবি করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবারের হামলার ঘটনাটি অক্টোবরে সেনা অভিযানের পরবর্তী সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তখন থেকেই রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ৮৯ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ৭৭ জন রোহিঙ্গা এবং ১২ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছন দেশটির নেত্রী অং সান সু চি। তিনি দাবি করেন, ভারী অস্ত্র নিয়ে সেনাঘাটিতে হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গারা। ২০১৬ সালের অক্টোবরে একই ধরনের হামলায় ৯ পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যে বড় আকারের সামরিক অভিযান হয়েছিল। তখন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যাকা-, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠে। তখন থেকে ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। জাতিসংঘ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকা-কে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের সামিল বলে উল্লেখ করে। চলতি মাসে রাথেটং শহরে নতুন করে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ এলাকায় রাখাইন ও রোহিঙ্গা দুই সম্প্রদায়েরই বসবাস। আশঙ্কা করা হচ্ছিলো এখানে সহিংসতা হতে পারে। এর মাঝেই শুক্রবার নিরাপত্তা বাহিনী ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষ হলো। এবার সেই সংঘর্ষ পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করেছে অনেক রোহিঙ্গা। বিজিবির কক্সবাজার জেলার ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আলি বলেন, নাফ নদীতে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা ভেসে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে প্রবেশে চেষ্টা করছে। কিন্তু এই ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। আমরা কাউকেই প্রবেশ করতে দিবো না। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সবসময়ই রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে কথা জানিয়ে আসলেও শেষ পর্যন্ত তাদের সুর নরম হয় এবং রোহিঙ্গাদের প্রবেশে অনুমতি দেয়। বাংলাদেশে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে এবং গত অক্টোবর থেকেই প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।