শিশু শিক্ষা নিকেতনের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

422

শিশু শিক্ষা নিকেতন বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে নবাবগঞ্জ টাউন ক্লাব এর মিলনায়তনে শিশু শিক্ষা নিকেতন এর আয়োজনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শিশু শিক্ষা নিকেতন এর সভাপতি ইকবাল মনোয়ার খান চান্নার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ বি এম রাশেদুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা খাতুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, শিশু শিক্ষা নিকেতন এর প্রধান শিক্ষক সুফিয়া সুলতানা । এ সময় প্রধান অতিথির বক্তেব্য এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ বি এম রাশেদুল হাসান বলেন, আমরা এখানে হাইয়ার এডুকেশান প্রোগ্রাম নিয়ে হাইয়ার এডুকেশান গড়ার জন্য কি করার দরকার, সেই আলোকে আমরা এখানে শিক্ষা দান করছি। যাতে আমাদের এখানকার ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে যদি যায় তাহলে যেন করতে পারে। আমি মনে করি এক সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাশ্ববর্তি এলাকা রাজশাহীতে যেতে হতো কিন্তু আমরা এখন এখানে কয়েকটি এডুকেশন করছি আপনাদের সার্র্বিক সহাযোগিতায় এবং আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে এমন একটা সময় আসবে যারা এগ্রিকালচারে, ল’তে, কম্পিউটারে, সাইন্স পড়তে রাজশাহীতে বা ঢাকাতে যেতে হবে না তারা এখানে এই সেবাটা পাবে। বিশেষ অতিথির বক্তেব্য সদর উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা খাতুন তার শিক্ষার কার্যক্রম তুলে ধরে এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যখন আমরা জ্ঞান অর্জনে প্রথম ধাপে পা রাখি তার মানে, আমরা পরি আমি জানি এবং আমি চর্চা করি। আমি জ্ঞানি হয় তাই পরা জিনিসটা হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের প্রথম ধাপ। আর আমরা এই পড়ালেখার যারা দায়িত পালন করি । যদি সেই শিক্ষক শিক্ষিকা মনে করেন আমরা এই জাইগায় আছি তাহলে তিনি নৈতিক দায়িত্ব পালন করেন তাদের নিজের সত্যা দিয়ে এটা আমার দিয়ে বিশ্বাস। সমস্ত কিছু শুধু মাত্র এটা নয় আপনারা জানেন আমরা প্রতি বছর প্রতিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে থাকি শুধু মাত্র বিদ্যালয়কে ছাত্র ছাত্রীর কাছে আকর্ষনীয় করে তুলার জন্য। প্রতি বছর যেটাকে আমরা বলছি সিøপ আপনারা জানেন বেশির ভাগ জিনিস অনলাইনে যেমন ইমনিটরিং, আমরা এখন যে মনিটরিং করছি, আমাদের প্রতেক্যটা অফিসারকে একটি করে ট্যাব দেওয়া হয়েছে তারা এটা দিয়ে তাৎক্ষনিক পরিবেশন এ সাথে সাথে ডিজিটে চলে যায় কি হচ্ছে তা যেন তাতক্ষনিক জানতে পারে আর আপনার শিশুটিকে খাবার দেওয়ার সময় একটু বেশি দেবেন যেন শেয়ার করার মানসিকতা থাকে। কারণ, আমরা চাচ্ছি একটা সুন্দর জাতি যে আন্য জনকে সহযোগিতা করার প্রয়াস তার মধ্যে থাকবে অন্যের প্রতি মনোযোগি হওয়া, অন্যের যে কষ্ট দুঃখ লাঘব করার যে মানসিকতা, সেটা যেন তার মধ্যে থাকে আর এই জন্য এই শিক্ষাটা দিবেন আমি আপনাদের কাছে এটা অনুরোধ জানাছি। শিশু শিক্ষা নিকেতন এর সম্পাদক মনিম-উদ-দৌলা চৌধুরী মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার মেয়েরা আমার নাতনিরা তাদের সন্তানদেকে আমাদের স্কুলে রেখে ভরসা করেছেন তাদের কাছে আমি কৃতঙ্গ। মেয়েদের বলছি,আমাদের কোনো কৃতজ্ঞ নাই,আপনাদের দয়া করে অনুরোধ করবো নিজের শিশুকে কোচিং সেন্টারে না দিয়ে নিজের সন্তানকে নিজে পড়ান। নিজে পড়িয়ে তার সন্তানকে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করান। সন্ধ্যার সময় নিজের সন্তান কে নিয়ে পড়তে বসাবেন পড়াবেন এটাই অনুরোধ করি। অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তেব্য শিশু শিক্ষা নিকেতন এর সভাপতি ও অনুষ্ঠানের সভাপতি ইকবাল মনোয়ার খান চান্না বলেন, আমার শুধু আপনাদের কাছে অনুরোধ স্কুলকে ই-পর্যায়ে নিয়ে যাবার জন্য আমরা যথেষ্ট পরিশ্রম করে থাকি। আপনারা অনেকেই অভিভাবক হিসেবে স্কুলে আসেন, দেখেন আবার নিজেরাও জানেন যে ক্লাস পরিক্ষাগুলো যেভাবে নেওয়া হয়, চেষ্টা করা হয়, আমার যে কথাটা আপনারা অনুগ্রহ করে আমাদের স্কুলটাকে সহযোগিতা করবেন। আপনারা বাচ্চাদের আনবেন, সময়মতো ক্লাসে নিয়ে আসবেন।এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে আরোও উপস্থিত ছিলেন, শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত ও প্রধান শিক্ষক ও নবাবগঞ্জ সরকারি হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হকসহ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। এর আগে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও একটি জাগরণী গানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।