শিবগঞ্জ সীমান্তের ওপারে দুই বাংলাদেশী নিখোঁজ

শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তের ওপারে পদ্মা নদী পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে গরু আনতে গিয়ে দুই বাংলাদেশী নিখোঁজ হবার খবর পাওয়া গেছে। গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতের কোন এক সময় ঘটনাটি ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। নিখোঁজরা হলেন- শিবগঞ্জের পাঁকা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চরপাঁকা গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. মোমিন এবং পাশের শিবগঞ্জের দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চরহাসানপুর ক্যাম্পপাড়া (চামপাড়া-গাইপাড়া) গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ইব্রাহীম ওরফে রিংকু।

জানা গেছে, চোরাচালানের উদ্দেশ্যে অন্তত: ৪ জনের একদল বাংলাদেশী রঘুনাথপুর-ওয়াহেদপুর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাবার পর দু’জন ফিরলেও অন্য দু’জন মোমিন ও ইব্রাহীম আজ রাত ৮টা পর্যন্ত ফেরেন নি। তাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন। সীমান্তবাসীদের অনেকে বলছেন, বিএসএফ তাদের নির্যাতণ করে হত্যা করেছে। কেউ কেউ বলছেন তাঁদের মেরে নদীতে ফেলে বা পাথর বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সীমান্তে দু’দিন থেকে দু’জন নিখোঁজের ঘটনাটি শোনা যাচ্ছে। ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। দু’জনের পরিবারের সাথে কথা বলা ও যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে পরিবার থেকে কোন অভিযোগ করা হয় নি। এ ছাড়া সীমান্তে কোন গুলির ঘটনা কেউ নিশ্চিত করে নি।

অধিনায়ক আরও বলেন, বিপরীতে ৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিমতিতা ক্যাম্পের সাথে গতকাল ও আজ দু’দিনই যোগাযোগ করা হয়েছে। বিএসএফ এ ব্যাপারে কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। এমনকি ৭১ বিএসএফ কম্যান্ডান্টও এ ধরণের কোন ঘটনার কথা জানান নি। বিজিবি সীমান্তের সকল এলাকায় ঘটনাটির অনুসন্ধান অব্যহত রেখেছে।

পাঁকা ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম ভারতে গরু আনতে গিয়ে দু’জন নিখোঁজের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল সকালে ঘটনাটি জানা গেছে। তবে নিহতের ব্যাপারে তিনি কিছু শুনেন নি বলে জানান। দূর্লভপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আজম বলেন, আজ দুপুরে ঘটনা জানা গেছে। দুজনকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলেও শোনা গেছে। দূর্লভপুর ৮ নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ শাহীন কবির বলেন,বিএসএফ দুজনকে নির্যাতন করে হত্যা করে মরদেহ পাথর বেঁেধ নদীতে ফেলে দিয়েছে বলে শোনা গেছে।