শিবগঞ্জের তর্ত্তিপুরে হিন্দু ধর্মবলম্বীদের মাঘী বান্নী গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত 

276

বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন ছিল আজ। চন্দ্র মাসের তারিখ হিসাবে প্রতি বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ শিবগঞ্জ পৌর এলাকার তর্ত্তিপুর পৌরণিক জাহ্নুমুনির আশ্রমের কাছে গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকেন। তর্তিপুর মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি শ্রী সাধন কুমার মনিগ্রাম জানান, এই গঙ্গাস্নান অধিকাংশ বছরই মাঘ মাসে অনুষ্ঠিত হয় বলে একে মাঘী বান্নী স্নান বলে। কিন্তু চাঁদের উপর নির্ভর করে কোন কোন বছর ফালগুন মাসেও গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী অঞ্চলের নাটোর, নওগাঁ এলাকা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুরুষ-মহিলারা বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, মিশুক, রিক্সাসহ বিভিন্ন প্রকার যানবহন যোগে দূরদূরান্ত থেকে গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য পূর্বদিন থেকেই পৌরণিক জাহ্নুমুনির আশ্রমে আসতে শুরু করে। হিন্দুদের এ গণজমায়েতকে উদ্দেশ্য করে তক্তিপুর ঘাট এলাকায় প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও গড়ে উঠেছে মেলা। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পৌর এলাকার তর্ত্তিপুর শ্মশানে মাকরী সপ্তমী মহাপূর্ণ স্নান উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাম্মবলীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবছর প্রচন্ড শীতের কারনে পূন্যার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম। এ উপলক্ষে শুধু স্থানীয় হিন্দু ভক্তদের ভোর থেকে তর্ত্তিপুর শ্মশান ঘাট এলাকায় গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দুদের এ গণজমায়েতকে উদ্দেশ্য করে তর্ত্তিপুর ঘাট এলাকায় প্রতিবছরের মত এবছরও গড়ে উঠেছে মেলা। মেলা চলবে ৩ দিন। জানা গেছে, হিন্দু শাস্ত্র মতে ভগীরত গঙ্গা নদীর জল প্রবাহ নিয়ে বাংলাদেশে আশার সময় তর্ত্তিপুর ঘাট এলাকায় শ্মশানের পাশে পৌঁছলে নিম গাছের নীচে জাহ্নবীমনির আশ্রম থেকে তাদের দেবতা জাহ্নবীমনি গঙ্গার জল ভূলবশত পান করে ফেলে। এতে ভগীরত ক্ষুব্ধ হলে জাহ্নবীমনি তার জান কেটে সেই জল বের করে দেয় এবং গঙ্গা মুক্ত হয়। সেই থেকে গঙ্গার এই জল প্রবাহ বলে হিন্দু ধর্মাম্মবলীরা বিশ্বাস করে। আর এই উপলক্ষে এই দিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পূর্ণ লাভের আশায় হিন্দু ধর্মাম্মবলীরা জমায়েত হন।