01713248557

শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে ‘বেরিল’

আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন বেরিল ভয়াবহ ঝড়ে পরিণত হয়েছে, এবার প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঝড়ে নয়-ফুট ঢেউ এবং বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। স্থানীয়দের নিরাপদে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আজ সোমবার এই হারিকেন ক্যারিবীয় দ্বীপে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)।

ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) বরাতে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, ঝড়টি ক্যাটাগরি-৪ বিপজ্জনক হারিকেনে রূপ নিতে পারে। এর আগে বলা হয়েছিল ঝড়টি ক্যাটাগরি-৩ বিপজ্জনক হারিকেনে রূপ নিতে পারে। মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে। আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের ইতিহাসে এর আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে মাত্রা ছয়বার।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বেরিল দক্ষিণ-পূর্ব ক্যারিবীয় অঞ্চলের কাছে পৌঁছে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৭৯ থেকে ২০৯ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে তাণ্ডব চালাতে পারে। আজ সকালে উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে ‘বড় ধরনের বিপজ্জনক ঝড়’ হয়ে আসবে বলে পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, বেরিল এখন পর্যন্ত আটলান্টিক মহাসাগরে রেকর্ড করা প্রথম এবং জুন মাসে রেকর্ড করা একমাত্র ক্যাটাগরি ৪ হারিকেন।

ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের ডিরেক্টর মাইক ব্রেনান সিএনএনকে বলেন, আমরা দ্রুত তীব্রতা (ঝড়ের) বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছি এবং বার্বাডোস ও উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জের মতো জায়গায় পৌঁছানোর আগে বেরিল একটি বড় হারিকেন হয়ে উঠবে। এছাড়া পূর্ব ও মধ্য ক্যারিবীয় অঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার পরও এটি শক্তিশালী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতাসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের ঝড়ের ‘বড় প্রভাবের’ জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শও দিয়েছেন ব্রেনান।

ঘূর্ণিঝড় বেরিল বার্বাডোস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট, গ্রেনাডাইনস, গ্রেনাডা, মার্টিনিক, টোবাগো ও ডোমিনিকাসহ গোটা ক্যারিবীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে এসব দেশে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেরিলের তাণ্ডবের শঙ্কায় ওই অঞ্চলের মানুষ জ্বালানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। একইসঙ্গে দুর্যোগের প্রস্তুতি হিসেবে খাবার ও পানি মজুদের হিড়িক পড়েছে।