লিবিয়ার এল-শাতি বিমানক্ষেত্রে হামলায় নিহত ১৪১

314

লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় বরাক এল-শাতি বিমানক্ষেত্রে জাতিসংঘ স্বীকৃত ত্রিপলিভিত্তিক সরকারের অনুগত বেসামরিক বাহিনীর হামলায় প্রায় ১৪১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয়ভিত্তিক সশস্ত্র বাহিনীর এক মুখপাত্র। গত বৃহস্পতিবার ত্রিপলিভিত্তিক সরকার অনুগত বাহিনী এল-শাতি বিমানক্ষেত্রটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ত্রিপোলিভিত্তিক ঐক্যমতের সরকারের অনুগত পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতার ‘থার্ড ফোর্স’ নামে পরিচিত এক বাহিনীর একটি ব্রিগেড হামলাটি চালিয়েছে বলে জানা গেছে। বার্ত সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সকালে বরাক আল শাতির মেয়র ও শহরটির চিকিৎসা সূত্রগুলো নিহতের সংখ্যা ৮৯ জন বলে জানিয়েছিল। তবে অনেক লাশ হাসপাতালে আনা হয়নি বলে জানিয়েছিলেন সেখানকার চিকিৎসা কর্মকর্তারা। পরে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলভিত্তিক স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ আল মিসমারি জানিয়েছেন, প্রায় ১৪১ জন নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যে ১০৩ জন এলএনএ-র সেনা। এদের অধিকাংশই বিমানক্ষেত্রটির দায়িত্বে থাকা ১২তম ব্রিগেডের সদস্য। কিছু লাশ গত শুক্রবার উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিহতদের মধ্যে বেসামরিক লোকজনও রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিসমারি। তিনি বলেন, সামরিক প্যারেড শেষে সেনারা ফিরে আসছিল। তারা সশস্ত্র ছিল না। তাদের অধিকাংশকেই হত্যা করা হয়েছে। এই হামলায় ঘটনায় জেনারেল খলিফা হাফতারের নিয়ন্ত্রণাধীন এলএনএ ও ত্রিপলিভিত্তিক প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সারাজির অনুগত বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান অনানুষ্ঠানিক অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘিত হয়েছে। এই হামলার আদেশ তারা দেয়নি বলে দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রী সারাজির দপ্তর। এ ঘটনায় ত্রিপলিভিত্তিক সরকার তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও হামলাকারী বেসামরিক বাহিনীর প্রধানকে ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্ত করেছে। এ বিষয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ‘থার্ড ফোর্সের’ এক মুখপাত্র জানিয়েছে, তারা বিমানক্ষেত্রটি ‘মুক্ত’ করে ভেতরে থাকা সব বাহিনীকে ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে। আগুন লাগিয়ে কয়েকটি বিমান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র। ত্রিপলিভিত্তিক ঐক্যমতের সরকারকে লিবিয়ার বৈধ সরকার হিসেবে মানে না এলএনএ। গত ডিসেম্বরে তারা ওই বিমানক্ষেত্রটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছিল। এর আগে বিমানক্ষেত্রটি ‘থার্ড ফোর্সের’ নিয়ন্ত্রণে ছিল। সংক্ষিপ্ত বিচারে হত্যার খবরে ‘ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন লিবিয়ার নিযুক্ত জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত মার্টিন কোবলার।