লাকি বছরে কনা

503

স্টেজ, অডিও গান, সিনেমার গান, জিঙ্গেল ও বিজ্ঞাপনে ভয়েস দেয়া নিয়ে চলতি বছরের পুরোটাই সরব ছিলেন দিলশাদ নাহার কনা। সব মিলিয়ে নারী শিল্পীদের মধ্যে এই বছরের সবচাইতে ব্যস্ত শিল্পীও ছিলেন তিনি। দেশ-বিদেশের স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান কনার কাছ থেকে পেয়েছেন শ্রোতারা। এ বছরই তার ‘রেশমী চুড়ি’ গানটি ইউটিউবে এক কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে। অন্যদিকে তার ‘নবাব’ সিনেমার ‘ও ডিজে’ গানটিও ১ কোটি পেরিয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো সম্প্রতি ইমরানের সঙ্গে কনার গাওয়া ‘দিল দিল দিল’ গানটি ইউটিউবে আড়াই কোটি শ্রোতারা উপভোগ করেছেন।
এটা দুই বাংলার মধ্যে একটি রেকর্ড। এর আগে কোনো বাংলা গানই ইউটিউবে এমন রেকর্ড গড়েনি। এদিকে বছরের শুরু থেকেই অডিও গানেও সরব ছিলেন কনা। জুয়েল মোর্শেদের সঙ্গে তার গাওয়া দ্বৈত গান ‘গার্ডেন গার্ডেন’ এবং একক গান ‘খামোখাই ভালোবাসি’র মাধ্যমে আলোচিত ছিলেন কনা। আর জিঙ্গেল ও ভয়েস ওভারের কাজ নিয়েও সারা বছর ব্যস্ত ছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে চলতি বছরটা কেমন গেল? উত্তরে কণা বলেন, সুপার ডুপার গেছে! এ বছর আমার গাওয়া গানগুলো শ্রোতারা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন। এটাইতো একজন শিল্পীর সব থেকে বড় প্রাপ্তি। তাছাড়া সত্যি বলতে আমি সারা বছরই দেশ বিদেশের স্টেজ শো এবং রেকর্ডিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। অবসর মিলেছে খুব কম। আমার মনে হয় এ বছরটি আমার জন্য লাকি বছর ছিল। সামনের পরিকল্পনা কি? কণা বলেন, নতুন বছর আসছে। অনেকে অনেক পরিকল্পনা করে থাকেন। কিন্তু ছকবাঁধা কোনো পরিকল্পনা আমি করিনি। তবে এ বছরের ধারাবাহিকতাটা নতুন বছরেও অব্যাহত রাখতে চাই। সেজন্য কিছু নতুন গানের কাজ ইতোমধ্যে করেছি। আরো কয়েকটি গান করবো সামনে। এগুলো ভিডিওসহ সিঙ্গেল আকারে আসবে। আর চলচ্চিত্রের গান গাওয়াতো চলবেই। আশা করছি এ বছরের মতো করে সামনের বছরটাও ভালো যাবে।