বিবিসি জানিয়েছে, ঘরে তৈরি ওই বোমাটি একটি বালতিতে রাখা সুপারমার্কেটের পশিং ব্যাগের মধ্যে লুকানো ছিল, তাতে একটি টাইমারও ফিট করা ছিল। এতে বোমা তৈরির কিছু জ্ঞান এতে কাজে লাগানো হয়েছে বলে ধারণা পাওয়া গেছে।
জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস তাদের নিউজ ওয়েবসাইটে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, গোষ্ঠীটি তাদের সঙ্গে যোগাযোগহীন কিন্তু তাদের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে চালানো হামলাগুলোরও দায় স্বীকার করে থাকে, এমনকি তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই এমন হামলার দায়ও স্বীকার করে থাকে।
দায় স্বীকার করলেও নিজেদের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি আমাক। তাদের এ দাবির সত্যতা যাচাই করাও অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রেনের ওই বগিটিতে থাকা ওলা ফায়ানকিন্নু বলেন, পেছন দিক থেকে দ্বিতীয় বগিতে ছিলাম আমি। ‘হুশশ্’ ধরনের একটি শব্দ শুনে পেছনে তাকিয়ে দেখি পুরো বগিতে ধরে যাওয়া আগুন আমার দিকে এগিয়ে আসছে। সামনের পুরো জায়গাটিজুড়ে সেলফোন, ক্যাপ, ব্যাগ ইত্যাদি পড়ে আছে, আবার যখন আমি পেছনে তাকাই আগুন ধরা একটি ব্যগ দেখতে পাই।
বস্তুটি বিস্ফোরিত হওয়ার ঠিক আগে ট্রেনে উঠেছিলেন বলে জানান চার্লি ক্রাভেন।
বলেন, কামরার দরজা বন্ধ হচ্ছে, আমি আমার ব্যাগটি মাত্র নিচে রেখেছি, এর তিন সেকেন্ডের মধ্যে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাই আমরা, পাশে তাকে দেখি আগুনের একটা কু-ুলি আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে।
তিনি জানান, আতঙ্কিত যাত্রীরা দৌঁড়ে পালাতে শুরু করে, দ্বিতীয় আরেকটি বিস্ফোরণ বা বন্দুকধারী ভয় তাড়া করে তাদের, এ সময় অনেকে পড়ে গেলে অন্যরা তাদের পদদলিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
লন্ডনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এ পযন্ত মোট ২৯ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, এদের অনেকেই আগুনের হল্কায় আহত হয়েছেন।