এর আগে ওই অগ্নিকা-ে বেঁচে যাওয়া অন্তত তিনজনকে সায়ানাইডের প্রতিষেধক দেওয়ার খবর দিয়েছিল যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমগুলো; কিন্তু সায়ানাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত কাউকে চিকিৎসা দেয়ার জানা প্রথম ঘটনা এটি। বারা অব কেনসিংটন ও চেলসির ল্যাঙ্কাস্টার ওয়েস্ট এস্টেটের গ্রেনফেল টাওয়ারে গত ১৩ জুন মধ্যরাতে আগুন লেগেছিল।
২৪ তলা ভবনটির ১২৭টি ফ্ল্যাটে ৪০০ থেকে ৬০০ মানুষের বসবাস ছিল। আগুনে ভবনটির ৬৪ জন বাসিন্দা নিহত বা নিখোঁজ হয়। অগ্নিকা-ের পর সেখান থেকে ৭৪ জনকে লন্ডনের ছয়টি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
এদের মধ্যে আন্দ্রিয়াসহ তার দুই মেয়েকে কিংস কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; সেখানে তারা কোমায় ছিলেন।
আন্দ্রিয়া অচেতন অবস্থায় ছিলেন চারদিন। লুয়ানা ছিলেন প্রায় ছয়দিন, আর তার বোন মেগানের জ্ঞান ছিল না এক সপ্তাহ।
অগ্নিকা-ে আন্দ্রিয়ার স্বামী মার্সিয়া গোমেজও শ্বাসরুদ্ধ হয়েছিলেন, তবে তার জ্ঞান ছিল।
লুয়ানার ছাড়পত্রে দেখা গেছে, তাকে ‘ধোঁয়াগ্রহণ জনিত আঘাত’ এবং ‘সায়ানাইড বিষক্রিয়া’র চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বিষক্রিয়ার জন্য চিকিৎসকরা লুয়ানাকে দুই দফা হাইড্রক্সিকোবালামাইন দিয়েছিল বলেও ছাড়পত্রে দেখা গেছে।
মা-মেয়ে তিনজনকেই প্রতিষেধক দেওয়া হলেও কেবল লুয়ানাকেই সায়ানাইড বিষক্রিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরুদ্ধ মানুষজনই সায়ানাইড বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন; এর উপসর্গের মধ্যে আছে মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি, বমি ও খিঁচুনি।
মাত্রা বেশি হলে এই বিষক্রিয়া মৃত্যুরও কারণ হতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
“সাধারণভাবে আপনি যখন শ্বাসের মাধ্যমে অক্সিজেন নেন, তখন আপনার কোষ শক্তি উৎপাদন করে। সায়ানাইড এই শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। এর প্রভাব খুব দ্রুত দেখা যায়…মাত্রার উপর নির্ভর করে মাত্র কয়েক সেকে-ে আপনি মারাও যেতে পারেন,” বলেছেন ক্লিনিকাল টক্সিকোলজিস্ট ও ইমার্জেন্সি মেডিকেল অ্যান্ড ক্রিটিকাল কেয়ার পরামর্শক ড. জোহান গ্রুন্ডলিং।