রোমান্টিক নওশাবা

234

টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র- এই দুই মাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পৃক্ত অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। ভিন্নধর্মী চরিত্র নিয়ে পর্দায় নিয়মিতই হাজির হচ্ছেন কোনো না কোনো নাটক কিংবা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। নওশাবা সবসময়ই অপেক্ষায় থাকেন নতুন বা ভিন্নধর্মী কোনো চরিত্রের, যেখানে নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দিতে পারবেন একজন অভিনেত্রী হিসেবে। এ ব্যাপারে ভাগ্যও বেশ সহায় সুহাসিনী এ অভিনেত্রীর। শুরু থেকেই জনপ্রিয় সব নির্মাতার ব্যতিক্রমী নানা নির্মাণে বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয় জয় করেছেন তিনি। নওশাবা জানান, কাজের সংখ্যা নয়, মান দেখেই কাজ করেন। যখন যে চরিত্রে অভিনয় করেন, সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজটি করার চেষ্টা করেন। ফাঁকিবাজির অভ্যাস একেবারোই নেই তার। অভিনয় পেশা হলেও অর্থ উপার্জন তার মূল লক্ষ্য নয়। অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকের কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট রাখতে চান তিনি। শনিবার দুপুরে সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি অভিনয়ের ব্যাপারে কোনো সমঝোতা করি না। যখন যে চরিত্রে কাজ করি সেটা খুব মন দিয়ে করার চেষ্টা করি। কাজে ফাঁকি দেয়া মানে নিজের সঙ্গে ফাঁকিবাজি করা। এ মুহূর্তে নওশাবা অভিনয় করছেন ‘চন্দ্রাবতী’, ঢাকা অ্যাটাক, আলগা নোঙর, স্বপ্নবাড়ি ও নাইন্টিনাইন ম্যানশন শিরোনামের পাঁচটি ছবিতে। বেশিরভাগ ছবিরই দৃশ্যধারণ তথা ৯৫ শতাংশের কাজ শেষ বলেই জানান এ অভিনেত্রী। উধাও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক হওয়া নওশাবা ক্যারিয়ারে এক এক করে অনেক ছবিতেই অভিনয় করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাকে প্রধান নায়িকার ভূমিকায় দেখেননি দর্শক। ঠিক কী কারণে নিজেকে সে অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেননি জানতে চাইলে বলেন, আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করেছি, আমাদের দেশে যখন চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয় তখন কোনো শিল্পীকে অডিশনের জন্য ডাকা হয় না। নির্মাতা প্রযোজকদের বান্ধবী-স্বজনরা ছবির নায়িকা হিসেবে স্থান করে নেয়। এ ক্ষেত্রে অনেক কাজ জানা অভিনেত্রী বাদ পড়ে যায়। এটা এখন একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। কিছু করার নেই। আমার ক্যারিয়ারে এখনো পর্যন্ত যা অর্জন করেছি নিজের যোগ্যতা দিয়ে হয়েছে। প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছি। আমি জানি আমি কোনো আহামরি সুন্দরী নই। আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড মামা-চাচাও নেই শোবিজের এই জায়গায়। আমার নেশা অভিনয়ে। আর সে তাড়না থেকে যুদ্ধ করছি। এখনো সেই পর্যায়ে যেতে পারিনি বলে দুঃখ হচ্ছে না। তবে যোগ্যতা দিয়ে একদিন হয়তো পারবো। এখানে বলে রাখা ভালো, নায়িকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ছবি নির্মাণের আগে অডিশনের ব্যবস্থা চালু করা উচিত। তাহলে দেখবেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য অভিনেত্রী নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাবে। চলচ্চিত্রের কথা তো বললেন নওশাবা। এবার ঈদের জন্য কি করলেন তিনি ? এ অভিনেত্রী জানান, আসছে ঈদে তার অভিনীত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্র, বেশ কটি খ- নাটক ও একটি মিউজিক ভিডিও দেখবেন দর্শক। এরইমধ্যে মাহমুদ দিদারের পরিচালনায় যে তুমি হরণ করো, রাজীব সরকারের দূরবীনের প্রেম ও গৌতম কৈরীর আয়নাবাজি অরজিনাল সিরিজর একটি নাটকের কাজ শেষ করেছেন। পাশাপাশি এক বছর পর নতুন করে মিউজিক ভিডিওতে নাম লেখালেন তিনি। শিল্পী আকাশের গাওয়া একটি গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈকত রেজা। এতে একেবারে অন্য এক নওশাবাকে দেখতে পাবেন দর্শক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মিউজিক ভিডিওটি দেখলেই বুঝবেন। আমি কখনো আগে এভাবে পর্দায় আসিনি। একেবারে রোমান্টিক। তাই বলবো এই নওশাবাকে আগে কোনোদিন দেখা যায়নি। আমি খুবই এক্সাইটেড। যতদূর জানি এই সপ্তাহেই মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশ পাওয়ার কথা রয়েছে। চলচ্চিত্রের ব্যস্ততার কারণে এখন আর আগের মতো নিয়মিত ধারাবাহিক নাটকগুলোতে অভিনয় করতে পারেন না নওশাবা। তবে এর মধ্যে যতটা পারেন সময় দেন বলেই জানান তিনি। বর্তমানে তার অভিনীত এসএ টিভিতে প্রচার চলছে ধারাবাহিক নাটক মন ছুঁয়েছে মন ও চ্যানেল আইতে প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে সাত ভাই চম্পা।