রোজার আগেই বাড়ল ফলের দাম

148

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ফলের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। মূল্যস্ফীতির চাপে যখন মানুষ হাঁসফাঁস করছে, তখন রমজান ঘিরে বাড়ানো হচ্ছে ফলের দামও। রোজা আসার আগেই দাম বাড়িয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানিকারকরা বিদেশি ফল বাজারে কম ছাড়ছেন, এ কারণে দাম বাড়ছে। যদিও আমদানিকারকরা বলছেন, বাড়তি দামে বিক্রি করে সুবিধা নিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কিছুদিন আগে নাশপাতি ও ছোট কমলার শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে ওই দুটি ফলের দাম বেড়েছে। কিন্তু অন্য ফলগুলোতে আগের মতোই আমদানি শুল্ক রয়েছে। এতে দুটি ফল ছাড়া অন্যগুলোর দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। যেসব ফলের দাম বেড়েছে, তার মধ্যে সাউথ আফ্রিকার গালা আপেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মালটা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা কেজি। যা ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। বেড়েছে ৪০ টাকা। চীনা ফুজি আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। আগে ছিল ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। নাশপাতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা ছিল। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি। বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। মানভেদে সাদা আঙুর বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি, যা ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। বেড়েছে ২০ টাকা। মানভেদে কালো আঙুরের দাম ছিল ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি। বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। ছোট ও মাঝারি আনার কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া দেশি ফলের মধ্যে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। চাম্পা কলা ডজনে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সবরি কলা ডজনে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। আকারভেদে প্রতি পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী সমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং বিকে ফুডসের স্বত্বাধিকারী শেখ আবদুল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নাশপাতি ও কমলার আমদানি শুক্ল বেড়েছে। এ ছাড়া আর সব ফলের শুল্ক ছয় মাস আগে থেকে একই রকম আছে। ডলারের দামও স্থিতিশীল আছে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী রোজায় মানুষ বেশি কিনবে এমন চিন্তা করে মুনাফার সুযোগ কাজে লাগান। দেশে ৭৮ ধরনের ফল উৎপাদন হয়, এর মধ্যে ১০ থেকে ১২টি প্রধান। দেশে প্রতিবছর ফলের চাহিদা প্রায় তিন কোটি টন। এর মধ্যে পৌনে দুই কোটি টন আমদানি করতে হয়। বাকিটুকু দেশে উৎপাদন করা হয়।