Site icon রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম

রেডিও মহানন্দায় ফেলোদের মাঝে চেক বিতরন

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এ্যন্ড কমিউনিকেশন বিএনএনআরসি প্রতি বছর নারীদের গনমাধ্যমে কাজ করার জন্য ফেলোশীপ প্রদান করে থাকে। যেখানে ফেলোরা তৃণমুল পর্যায়ে দলিত অনগ্রসর নৃতাত্বিক, জনগোষ্ঠীর অধিকারসমুহ সম্ভাবনা, সমস্যা ও এগুলো থেকে উত্তরোণের উপায় এই বিষয়গুলো ফেলো চলাকালীন তাদের কাজের মধ্যে উঠিয়ে আনে। রেডিও মহানন্দা থেকে ৩ মাসের জন্য ফেলো নিয়োগ পেয়েছিলেন সুপ্রিয়া আক্তার, মরিয়ম নেসা ও নিলুফা ইয়াসমিন। তাদের কার্যকাল ছিলো ১ অক্টেবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। আজ তাদের ফেলোশীপের কাজের জন্য প্রত্যেককে ১২ হাজার টাকার চেক তুলে দেন রেডিও মহানন্দার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিব হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্টেশন ম্যানেজার আলেয়া ফেরেদৗস, সহকারি স্টেশন ম্যানেজার মু: আব্দুল বারী। চেক প্রদানকালে  রেডিও মহানন্দার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিব হোসেন বলেন রেডিও মহানন্দার অন্যতম একটি কাজ হচ্ছে এখানে যারা যুক্ত আছেন তাদের গনমাধ্যমের সাথে সম্পৃক্ত করে যথাযথভাবে গনমাধ্যমকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা। ৩ মাস ফেলোষীপ শেষ হওয়ার পর রেডিও মহানন্দা বা প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকে ফেলোশীপে দিয়ে। তিনি আরো বলেন আমি ফেলোশীফটাকে সাধুবাদ জানায় যুবক যুবতীদের দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখঠে বিএনএনআরসির ফেলোশীপর মাধ্যমে। অন্যদিকে, নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত মোট ৩ মাস বিএনএনআরসি কর্তৃক ফেলো হিসেবে কাজ করেছি। এখানে কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে। প্রথমে কাজ করতে গিয়ে কিছুটা ভয় লাগলেও পরে সে ভয়টা আর ছিলনা। কাজ করতে আমার ফেলোর মেন্টর সহ সকলের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা কাজ করেছি দলিত শ্রেণী ও অনগ্রসর মানুষদের নিয়ে। তাদের সাথে মিশে তাদের বিভিন্ন দিকগুলো প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। প্রতিমাসে ৪টি প্রতিবেদন ও ১টি ফিচার সহ ৩ মাসে মোট ১২টি প্রতিবেদন ও ৪ টি ফিচার তৈরী করতে হয়েছে। প্রতিবেদনগুলো রেডিও মহানন্দায় প্রচার হয়েছে এবং ৪টি ফিচার দৈনিক গৌড় বাংলায় প্রকাশ পেয়েছে। ফেলো হিসেবে কাজ করতে পেরে নিজেকে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। নতুন একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আশা করছি এই অভিজ্ঞতা আমার ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগবে। ফেলোশীপ পাওয়া মরিয়ম নেসা বলেন আমাদের ফেলোশীপ শুরু হয় অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে। যদিও আগে থেকেই রেডিও মহানন্দায় কাজ করছিলাম তবে ফেলোশীপ পাওয়ার পর অন্যরকম একটু অনুভূতি ছিল। ভাবতাম নতুন কোন কাজ করতে যাচ্ছি কিভাবে করবো, বা করতে পারবো কিনা। এরকম ভাবনা নিয়ে কাজ করতে শুরু করলাম। দীর্ঘ তিন মাস ধরে ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখে ফেলোশীপের কাজ করে শেষ করেছি। কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি, নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। বিভিন্ন সময় কাজ করতে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয়েছি, অনেক সময় মনে হয়েছিল কাজ করতে পারবো না। কিন্তু আমাদের মেন্টর মৌটুসী চৌধুরী বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে আমাকে। অনেকভাবে বাধা বিপত্তি আসলেও থেমে থাকেনি আমার কাজ। অনেক কষ্ট করে হলেও আমার কাজ আমি শেষ করতে পেরেছি। আমার এখন খুব ভালো লাগছে। আমি আমার কাজ এভাবেই চালিয়ে যেতে চাই ধন্যবাদ রেডিও মহানন্দাকে এরকম একটা প্লাটফর্ম দেওয়ার জন্য।  সুুপ্রিয়া আক্তার বলেন, বিএনএনআরসি থেকে ৩ মাসের জন্য ফেলো হিসেবে কাজ করেছি। এখানে কাজ করতে গিয়ে সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে মিশে তাদের দঃখ বেদনাগুলো বুঝতে পেরেছি এবং তা প্রতিবেদন আকারে প্রচার করেছি। প্রথমে মনে হচ্ছিল কাজ করতে পারব কিনা কিন্তু পরে সব ভয় কাটিয়ে সকলের সহযোগিতায় ফেলোর কাজ করেছি। এখানে ফেলো হিসেবে কাজ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। আমার নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আশা করি এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ জীবন গতিশীল করতে পারব।

 

Exit mobile version