রূপান্তরের আভাস দিয়ে আনচেলোত্তির ব্রাজিল দল ঘোষণা
বিশ্বকাপের পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, এবার ব্রাজিল দলের হাল ধরেছেন এক ইউরোপীয় ঘরানার মাস্টারমাইন্ড কার্লো আনচেলোত্তি। জুনের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো সামনে রেখে তার ঘোষিত প্রথম স্কোয়াড দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এই ইতালীয় কোচ বড় ধরনের কৌশলগত রূপান্তরের দিকে হাঁটছেন। ব্রাজিলের ২৬ সদস্যের এই দল দেখলেই চোখে পড়ে কিছু নতুন নাম, কিছু চেনা মুখের অনুপস্থিতি। সবচেয়ে বড় কথা, এই তালিকায় নেই চোট থেকে ফেরা নেইমার। এ নিয়ে জল্পনা থাকলেও আনচেলোত্তি পরিষ্কার করেছেন, ‘‘নেইমারের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, সে সেরে উঠলে ফিরে আসবে।’’ নেইমারের অনুপস্থিতি একদিকে যতটা বিস্ময়, রদ্রিগোর বিশ্রাম ঠিক ততটাই কৌশলগত। ক্লান্ত রদ্রিগোকে বিশ্রামে রাখার সিদ্ধান্তটা এসেছে কোচ ও খেলোয়াড়—দুজনের বোঝাপড়ায়।
তবে হতাশার ভিড়ে আশার আলোও আছে। মিডফিল্ডে ফিরেছেন কাসেমিরো, যিনি দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। পাশাপাশি দলে জায়গা করে নিয়েছেন বেশ কিছু উদীয়মান প্রতিভা, যাদের মধ্যে পালমেইরাসের এস্তেভাও অন্যতম চমক।
দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আপাতত ১৪ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল অবস্থান করছে চতুর্থ স্থানে। শীর্ষ ছয় দল সরাসরি যাবে বিশ্বকাপে, আর সপ্তম স্থানের দল পাবে প্লে-অফের সুযোগ। সুতরাং, প্রতিটি পয়েন্ট এখন স্বর্ণমূল্য!
এখন প্রশ্ন হলো, এই রূপান্তরাত্মক স্কোয়াড কি ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে নতুন চেহারায় দেখতে দেবে? আনচেলোত্তির এই ভিন্নধর্মী সিদ্ধান্ত কি সঠিক পথে এগোচ্ছে? না কি বড় কিছু চাওয়া-পাওয়ার মাঝপথে হারিয়ে যাবে ব্রাজিলের ঐতিহ্য? উত্তর মিলবে মাঠে।
২৬ সদস্যের ব্রাজিল দল:
গোলরক্ষক:
আলিসন (লিভারপুল), বেন্তো (আল নাসর) ও উগো সুজা (করিন্থিয়ানস)।
ডিফেন্ডার:
আলেক্স সান্দ্রো, দানিলো, লিও ওরতিজ ও ওয়েসলি (সব ফ্ল্যামেঙ্গো), বেরালদো ও মারকিনিয়োস (পিএসজি), আলেক্সসান্দ্রো (লিল), কার্লোস আলগুস্তো (ইন্টার মিলান) ও ভ্যান্ডারসন (মোনাকো)।
মিডফিল্ডার:
আন্দ্রেয়াস পেরেইরা (ফুলহাম), ব্রুনো গিমারাইস (নিউক্যাসল), আন্দ্রেই সান্তোস (স্ত্রাসবুর্গ),
কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), এদেরসন (আতালান্তা) ও গেরসন (ফ্ল্যামেঙ্গো)।
ফরোয়ার্ড:
এস্তেভাও (পালমেইরাস), অ্যান্টনি (বেতিস), গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি (আর্সেনাল),
মাতেউস কুনিয়া (উলভস), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা) ও রিচার্লিসন (টটেনহাম)।