রুটি, পাউরুটির চেয়ে ভালো

572

শহুরে নাস্তায় ঝামেলা এড়াতে পাউরুটি বেশ প্রচলিত। আবার সাদার চাইতে বাদামি পাউরুটির স্বাস্থ্যকর-এমন পরামর্শও শোনা যায়। তবে যত যাই হোক পাউরুটির চেয়ে হাতে বানানো রুটি অনেক বেশি পুষ্টিকর।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের উপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাউরুটির চাইতে হাতে বানানো রুটি প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত।

আর কারণগুলো হল-

* বিভিন্ন ধরনের বাদামি পাউরুটি, একাধিক ধরনের শষ্য মিশ্রিত পাউরুটি বা বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত পাউরুটি খালি আমাদের পেটই ভরায়। সেই সঙ্গে দেহে ঢোকে চিনি, মাখন বা কৃত্রিম চর্বি আর প্রকৃয়াজাত আটা। প্যাকেটের গায়ে নানান পুষ্টি উপাদানের কথা লেখা থাকলেও আমাদের ওজন বৃদ্ধির পেছনে এগুলোর উল্লেখযোগ্য দায় রয়েছে।

* কখনও ভেবে দেখেছেন, কে এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে রুটির চাইতে পাউরুটি ভালো? হয়ত বিজ্ঞাপনদাতারা এবং তারা সফল, কারণ অনেকেই পাউরুটিকে রুটির উত্তম বিকল্প হিসেবে মানেন।

* বাণিজ্যিভাবে তৈরি পাউরুটিগুলোতে ভোজ্য রং, কৃত্রিম চর্বি, এগ স্ট্যাবিলাইজার, সোডা, ইস্ট ইত্যাদি সবকিছুই অতিরিক্ত পরিমাণে থাকে। বাদামি বা একাধিক শষ্য বা ওটস কে তৈরি হয়েছে- এমন দাবি করা পাউরুটিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রতিশ্রুত উপকরণ কম, বরং রং বেশি।
* এছাড়াও পাউরুটিতে থাকে প্রিজারভেটিভ, যা দোকানে দীর্ঘদিন সুন্দর চেহারা ধরে রাখার জন্য জরুরি। ওদিকে রুটিতে ‘প্রিজারভেটিভ’যুক্ত আটা থাকে না বলেই বেশিদিন টেকে না, ফলে স্থায়িত্বের দৌড়ে হেরে যায় হাতে বানানো রুটি।
* পাউরুটি শুধুই পেট ভরায়। কারখানাজাত কোনো পাউরুটি আদৌ স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে সাহায্য করেছে কি না তার কোনো প্রমাণ নেই।
* অপরদিকে রুটি একটি পরিপূর্ণ খাবার। আমাদের পূর্বপুরুষরা পাউরুটি নয়, রুটি খেয়েই বড় হয়েছেন। আর তাদের ত্বক, চুল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, শক্তি, কর্মক্ষমতা ইত্যাদি যে বর্তমান প্রজন্মের তুলনায় বেশি তা অস্বীকার করার উপায় নেই। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত সোডিয়াম, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, আমিষ সবই পাওয়া যায় রুটি থেকে। আর পাউরুটির চাইতে পরোটা নিশ্চয়ই বেশি সুস্বাদু।
* ক্যালরির হিসাব করবেন! একটি রুটিতে থাকে ১১০ ক্যালরি আর দুই স্লাইস পাউরুটিতে আছে ১৩২ ক্যালরি। আবার পাউরুটিতে থাকা প্রক্রিয়াজাত আটা ও চিনি শরীরে জমা হয় চর্বি হিসেবে। এবার নিজেই বিচার করে নিতে পারেন কোনটা খাওয়া স্বাস্থ্যকর।