01713248557

রাতে বারবার তৃষ্ণা লাগে? জেনে নিন কারণ

আপনার কি প্রায়ই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় আর তৃষ্ণা পায়? মনে হয় গলা শুকিয়ে আছে? এরকমটা হলে আপনি একা নন। অনেকে তৃষ্ণার কারণে মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং হঠাৎ জেগে ওঠার অভিযোগ করেন। এটি ডিহাইড্রেশন এবং মুখের শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই সমস্যাকে ডাক্তারি ভাষায় পলিডিপসিয়া বলা হয়, চরম তৃষ্ণার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। মুখের ভেতরে শুকিয়ে যাওয়া, সব সময় তরল পান করার একটি অস্বাভাবিক তাগিদ এবং ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ এই সমস্যার অন্যতম লক্ষণ। দিনের বেলা ডিহাইড্রেশন, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ এবং ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মতো বিষয়গুলোও এক্ষেত্রে কারণ হতে পারে।

খাবারের ভূমিকা

বিশেষজ্ঞের মতে, ডায়েট মানুষের তৃষ্ণার মাত্রাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। শোবার আগে নোনতা বা মসলাদার খাবার খেলে তা শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে, যার ফলে তৃষ্ণা বেড়ে যায়। এছাড়া ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণও ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। এ কারণে সুষম খাদ্য বজায় রাখা এবং ঘুমের আগে এই খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

ওষুধের প্রভাব

কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে গলা শুকিয়ে যেতে পারে। আমেরিকান জেরিয়াট্রিক্স সোসাইটির জার্নালে প্রকাশিত ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব বয়স্ক ব্যক্তি নির্দিষ্ট ওষুধ খান তাদের গলা শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গবেষকরা অসংখ্য গবেষণা থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন এবং গলা শুকানো এবং বারবার প্রস্রাবের সঙ্গে বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ আবিষ্কার করেছেন।

স্লিপ অ্যাপনিয়া

স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো ঘুমের ব্যাধি গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং বারবার তৃষ্ণা পাওয়ার সমস্যা বাড়াতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এটি মুখের শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে ঘটে, যা স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পরিচিত সমস্যা।

রাতে অত্যধিক তৃষ্ণা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?

রাতে বারবার তৃষ্ণা পাওয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে রয়েছে ঘুমানোর আগে অত্যধিক স্ক্রিন টাইম এড়ানো, যা মেলাটোনিন উৎপাদন কমাতে পারে, ঘুম ব্যাহত করতে পারে এবং গলা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। এছাড়াও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ; নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী বজায় রাখা; ঘুম উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা ইত্যাদিও এই সমস্যা কমাতে কাজ করতে পারে।