রমজানে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার: খাদ্য উপদেষ্টা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের কারণে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে সেখানে খাদ্যশষ্যের চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবিসহ দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সীমান্তে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। আজ দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ বিষয়ক সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি। প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘খাদ্য সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ থেকে কিছুটা চোরাচালান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আগে থেকেই সার এবং জ্বালানি তেল চোরাচালানের একটা প্রবণতা এখানে ছিল। তাই নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে কোন অবস্থাতেই চোরাচালান না হতে পারে।

দেশে বর্তমানে খাদ্যশষ্যের সরকারি মজুদ এবং আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, সামনে বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চালের যে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছিল সেটি কেটে যাবে এবং চালের দামও সহনশীল থাকবে। দেশে এ মুহূর্তে ১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী রমজান মাসকে ঘিরে যাতে দাম সহনশীল থাকে সে বিষয়েও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আগামী রমজান মাসে দেশের ৫০ লাখ পরিবার কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবে। এ ছাড়া আগামী ঈদ উপলক্ষে এক কোটি পরিবারকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল দেয়া হবে উপহার হিসেবে। এ-সবই হচ্ছে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে জলসীমান্ত ৫৪ কিলোমিটারের।