কোষ্ঠকাঠিন্য : অতিমাত্রায় ভাজা-পোড়া ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার ও পর্যাপ্ত পানি পান এবং খাবারে পর্যাপ্ত আশ জাতীয় খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
ইনডাইজেশন : অতিরিক্ত খাবার পরিহার, পর্যাপ্ত পানি ও ফলের রস পান, অতিমাত্রায় তেলে ভাজা খাবার পরিহার, কার্বোনেটেড পানীয় যেমন, কোকোলা পান পরিহার এবং ডিম-ডাল পরিহারের মাধ্যমে অজীর্নতা বা ইনডাইজেশন পরিহার করা যায়।
লো ব্লাড প্রেশার : সাধারণত রমজানে অনেকের ক্ষেত্রে রক্তচাপ খানিকটা কমতে পারে। এ ক্ষেত্রে যাদের লো-ব্লাড প্রেশার আছে তারা আহারের সময় খানিকটা বাড়তি লবণ খেতে পারেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও জুস পান করার মাধ্যমে লোব্লাড প্রেশার এর সমস্যা কাটিয়ে রোজা রাখতে পারেন।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া : হাইপোগ্লাইসে-মিয়া বা লো ব্লাড সুগার সমস্যা রমজানে একটি অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা। মজার ব্যাপার হলো যারা নন ডায়াবেটিক তাদেরও হাইপ্রোগ্লাই-সেমিয়া হতে পারে। বিশেষ করে সেহেরীর সময় অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত শর্করা জাতীয় খাবার আহার এবং অতিমাত্রায় মিষ্টি জাতীয় খাবার আহারের কারণে শরীরে অতিমাত্রায় ইনসুলিন তৈরি করে। যার ফলে অনেকের রক্তের সুগার কমতে পারে। তাই সেহেরীর সময় অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। আর ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত।
পেপটিক আলসার ও হার্টবার্ণ : যাদের পেপটিক আলসার নেই তাদেরও অনেক ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের অজ্ঞতার কারণে এসিডিটি বাড়তে পারে। সৃষ্টি হতে পারে বুক জালা-পোড়া বা হার্ট বার্ণ। পবিত্র রমজানে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার, কফি, চা ও কোলা জাতীয় পানীয় পরিহার করে নন পেপটিক আলসারের রোজাদারগণ ভালো থাকতে পারেন। এছাড়া যাদের পেপটিক আলসার আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করে রোজা থাকতে পারেন। আজকাল আধুনিক পেপটিক আলসারের ওষুধ আছে যা একবার সেবনে সারাদিন এসিডিটি মুক্ত থাকা যায়।