যে নাগরদোলা কখনও থামে না !

342

আমরা মেলায় নাগরদোলা দেখেছি। অনেকে উঠেছি। আনন্দ করেছি। কিন্তু সেগুলোর উচ্চতা কত? পনেরো ফুট, বিশ ফুট। এখানে যে নাগরদোলার পরিচয় পাঠক পাবেন সেটির উচ্চতা ৫৫০ ফুট। লেখার শিরোনামেই এর পরিচয়। ‘হাই রোলার’ নামক এই নাগরদোলা যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অবস্থিত। যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় ‘লন্ডন আই’ নাগরদোলার চেয়ে এটি ১০০ ফুট বেশি উঁচু। এই নাগরদোলায় উঠে একবার ঘুরে আবার মাটিতে নেমে আসতে সময় লাগে প্রায় ৩০ মিনিট। মজার ব্যাপার এটি কখনও থামে না; ২৪ ঘণ্টা চলমান। শহরের দৃশ্য পুরোটা দেখার জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না। নাগরদোলায় প্রয়োজনীয় তথ্য দেখানোর জন্য একটি স্ক্রিন আছে। যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন তাৎক্ষণিক কতটুকু উচ্চতায় আপনি রয়েছেন।

নাগরদোলায় ২৮টি ক্যাপসুল রয়েছে। প্রত্যেকটি ক্যাপসুল সর্বোচ্চ ৪০ জনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ক্যাপসুলে আপনি দাঁড়িয়ে বা বসে চারপাশের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। অবশ্য এজন্য আপনাকে ২৫ থেকে ৩৫ ডলার গুনতে হবে। কেননা রাইডের মূল্য নির্ভর করছে আপনি কখন সেখানে উঠবেন- দিনে না রাতে। সিদ্ধান্ত নিতে না পারলেও সমস্যা নেই। ৪৫ ডলারের একটি টিকেট করে রাখলে যে কোনো সময় আপনি রাইডে উঠতে পারবেন। এছাড়া একই সুবিধা তিনদিন পর্যন্ত গ্রহণ করতে চাইলে ৫৫ ডলারের টিকেটও রয়েছে। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনি যেকোনো সময় টিকেট কিনতে পারবেন।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার, আপনার পকেটে যদি অনেক টাকা থাকে তাহলে আপনি চাইলে পুরো একটি ক্যাপসুল একাই ভাড়া নিতে পারেন।  সেক্ষেত্রে আপনাকে গুনতে হবে ১৬০০ ডলার। সময় ওই ৩০ মিনিট। রাইডে ওঠার সময় আপনি খাবার সঙ্গে নিতে পারবেন না। তবে রাইডে ওঠার আগে সেখানকার নিজস্ব বার থেকে পানীয় কিনে সঙ্গে নিতে পারবেন।

নাগরদোলাটি সার্বক্ষণিক ধীরগতিতে চলমান অবস্থায় থাকে। যে কারণে ওঠা-নামার জন্য আলাদা দরজার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একটি দরজা দিয়ে রাইড শেষ করে মানুষ নামবে, অন্যটি দিয়ে উঠবে। বর্তমানে উচ্চতার দিকে থেকে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে সিঙ্গাপুরের ‘সিঙ্গাপুর ফ্লায়ার’। এই নাগরদোলার উচ্চতা ৫৪০ ফুট। তবে ‘হাই রোলার’ হয়তো খুব বেশিদিন এই রেকর্ডের অধিকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। কেননা ‘নিউইয়র্ক হুইল’র কাজ বেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কাজ শেষ হলে ধারণা করা হচ্ছে এই নাগরদোলার উচ্চতা হবে ৬২৫ ফুট।