যেসব ফল খেতে পারেন ডায়াবেটিকরা

366

রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেক রোগী ফল খেতে চান না। যদিও কিছু ফল রক্তে শর্করা বাড়ায়। তবে অনেক ফল রয়েছে যেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। ডায়াবেটিকদের জন্য এসব ফল উপকারী।
পুষ্টিবিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরনের ফলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও আঁশ থাকার কারণে আস্তে আস্তে হজম হয় ফলে শর্করা দেহে শোষিত হয় ধীরে। তাছাড়া ফলে রয়েছে পলিফেনলস যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সবচেয়ে ভালো উপায় হল ফল খাওয়ার পর রক্তের শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা। এতে বোঝা যাবে কোনো ফল রক্তে শর্করা বাড়াচ্ছে, নাকি বাড়াচ্ছে না।
তারপরও ডায়াবেটিকদের জন্য নিরাপদ কিছু ফল রয়েছে যেগুলো তারা খেতে পারেন। তারপরও ফলগুলো খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আপেল
ডায়াবেটিকদের জন্য আপেল খুব ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে এই ফলে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা ৪০ শতাংশ কম থাকে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি’র গবেষণা অনুযায়ী টাইপ-টু ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে এই ফল ভালো কাজ করে। আপেলে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ থাকে যা পেট ভরা রাখে।
বেরিজাতীয় ফল
মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে ব্লুবেরিজ, রাস্পবেরিজ ও ক্র্যানবেরিজ হতে পারে স্বাস্থকর বিকল্প। কারণ ফলগুলো মিষ্টি। ব্লুবেরি হৃদয় সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ফ্লাভানয়েডস, প্রচুর আঁশ ও অ্যান্থোমসায়ানিন নামক উপাদান টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। ক্র্যানবেরি’র ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যেমন- অ্যান্থোসায়ানিন হৃদযন্ত্রের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রাস্পবেরি’তে রয়েছে ভিটামিন সি, আঁশ, অ্যান্থোসায়ানিন এবং এলাজিক অ্যাসিড যা ইন্সুলিনের মাত্রা বাড়ায়, রক্তের শর্করা ও প্রদাহ কমায়।
কাঁকুড়-জাতীয় ফল
ফুটি, বাঙ্গি, তরমুজ ইত্যাদি ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এসব অনেক্ষণ পেটভরা রাখে। ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা কমায়।
ফুটি ভিটামিন এ’য়ের ভালো উৎস যা চোখের স্বাস্থ্য ও ডায়াবেটিসের কারণে হওয়া রেটিনার ক্ষয় দূর করতে সাহায্য করে।

লাল জাম্বুরা
এটা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডস কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এই ফল ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় এটা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন, এই ফল কিছু ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া ভালো।
টমেটো
সবজি হিসেবে টমেটো খাওয়া হলেও এটা ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী ফল হিসেবে ভালো কাজ করে। কেবল ভিটামিন ‘সি’, ‘এ’ ও পটাশিয়াম নয় বরং হৃদয় ভালো রাখার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান লাইপোসিন সরবারহ করে। তাছাড়া এটা নিম্ন ক্যালরিযুক্ত। প্রতি এক কাপ টমেটো আপনাকে দেবে মাত্র ৩২ ক্যালরি।