যেভাবে এল ইমরুলের হেলমেটে পতাকা

171

হেলমেটে ক্রিকেট বোর্ডের মনোগ্রাম থাকে বরাবরই। ইমরুল কায়েসের মনে হলো, একটু কমতি আছে। দেশের চিহ্ন কেন থাকবে না সেখানে? অনেক দেশের ক্রিকেটারকে দেখেছেনও। যে ভাবনা, সেই কাজ। হেলমেটে বোর্ডের মনোগ্রামের ওপরে লাগিয়ে নিলেন দেশের পতাকার স্টিকার। তাকে দেখে যে পথে হেঁটেছেন দেশের আরও কয়েকজন ক্রিকেটার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রোববার ১৪০ বলে ১৪৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন ইমরুল। ইনিংসের প্রায় পুরোটা খেলেছেন, মাঠের নানা প্রান্তে উড়িয়েছেন বোলারদের, পেয়েছেন পাদপ্রদীপের আলো। তার হেলমেটে দেশের পতাকাও বারবার ফুটে উঠেছে উজ্জ্বল হয়ে।
কোন ভাবনা থেকে এটির শুরু, সেই গল্প শোনালেন ইমরুল।
“অন্য দেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেখেছিলাম হেলমেটে বোর্ডের মনোগ্রামের ওপর দেশের পতাকা লাগাতে। আমারও মনে হলো, এটি দারুণ ব্যাপার। সম্ভবত ২০১৫ বিশ্বকাপের পর আমিও শুরু করলাম। শুরুতে প্লাস্টিকের স্টিকার লাগাতাম। সেটি টিকত না। এখন কাপড়ের পতাকার স্টিকার লাগিয়ে রাখি। পরে মুশফিক ও আরও কয়েকজন পতাকা লাগাতে শুরু করল হেলমেটে।”
“খুব বড় ব্যাপার হয়তো নয়, তবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করা যায়। জার্সিতে তো দেশের নাম থাকেই, হেলমেটেও পতাকা থাকল। অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে।”
পোশাক থেকে শুরু করে ক্রিকেট সরঞ্জাম, এসবে ক্রিকেটাররা অনেক খুঁতখুঁতে থাকেন। অনেকের থাকে কুসংস্কার, থাকে অনেক অনেক গল্প। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংসটি যে হেলমেট পরে খেলেছেন, সেটি যেমন অনেক দিন পড়েছিল ইমরুলের ঘরের কোণে।
“এই হেলমেট পরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলাম (২০১৬ সালে ১১৯ বলে ১১২)। এরপর হেলমেটটি নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল একটু। ফেলে রেখেছিলাম। এবার এশিয়া কাপে খেয়াল করেছিলেন না, হেলমেট বেশ সমস্যা করছিল আমার। পরে এই হেলমেটের কথা মনে পড়ল। একটু ঠিকঠাক করে আবার পরতে শুরু করলাম। এখন তো মনে হচ্ছে, এটি আমার লাকি হেলমেট!”