যক্ষা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে মতবিনিময় সভা

196

‘‘যক্ষা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে” জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে শহীদ সাটুহল মার্কেটের তৃতীয় তলায় বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতির আয়োজনে এই সভার আয়োজন করে। সভায় নাটাবের সভাপতি মনিম উদ দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এম এ মাতিন ও আলোচক হিসেবে ছিলেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ জিনাত আরা হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মনোয়ার খান চান্না। এসময় তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি একটু সচেতন হন তাহলে আমরা সকলেই সুস্থ থাকব। আজ আপনাদের ডেকেছি তার কারণ, এই আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সচেতন করব। ১ সপ্তাহের বেশি কাশি হলে বা খুসখুসে কাশি হলে বা শরীর ক্ষিন হয়ে যাওয়া এরকম লক্ষণ দেখা দিলে আপনারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আর এই জন্য আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে সেই সাথে আমাদের ও এগিয়ে যেতে হবে। প্রধান আলোচক উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এম এ মাতিন, সকলকে নিয়মিত পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ খেতে বলেন। সেই সাথে নিয়মকানুন মেনে চলার কথা উল্লেখ বলেন, যে রোগীর ক্ষেত্রে আমরা নিয়মিত ভাবে ওষুধটা সেবন করাব সেটাকে ডটস বলে। এ যক্ষা রোগীর নিয়ন্ত্রণের মুল হচ্ছে চাবিকাঠি। যক্ষা রোগীদের চিকিৎসার একমাত্র ওষুধ। আসুন আমরা সকলে সুস্থভাবে জীবন যাপন করি। নিয়মিত ওষুধ খায়, কাশি হলে রুমাল ব্যাবহার করি। এসব নিয়ম মেনে চললে দেখা যাবে আমরা কিছুটা হলেও সুস্থ থাকব। আলোচক সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ জিনাত আরা হক যক্ষা রোগীদের আলাদা রাখতে বলেন এবং সেই সাথে সকলকে সচেতন হবার আহবান জানান। আমরা যদি সচেতন না হয় তাহলে কিন্তু আমরা কেউ অসুখে হাত থেকে বাঁচবনা এমনকি সঠিকভাবে ওষুধ না খায় তাহলে ধীরে ধীরে বেশি হবে। আর যে এরকম করবে সে কিন্তু সহজেই অসুখে আক্রান্ত হবে। যেমন নিউমোনিয়া, এইডস বা আরো ভয়াভব রোগ হতে পারে আর এই ছোট ছোট অসুখ থেকে রোগী সহজেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। যার জন্য আমরা সকলেই সচেতন হব। সভাপতির বক্তব্যে নাটাবের সভাপতি মনিম উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, যক্ষা রোগী যদি ৬ মাস নিয়মিত ওষুধ সেবন করে তাহলে তার যক্ষা রোগ ভাল হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, কোন মসজিদের ইমাম, কোন ক্লাবের সভাপতি বা কোন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হাতে আমরা ওষধটা দিই তাদেরকে আমরা বলি ছয় মাস ওষধ খাওয়াতে হবে। আমরা যদি কোন রোগীকে ছয় মাস ওষুধ খাওয়াই তাহলে অবশ্যই সেই রোগীর অসুখ ভাল হবে। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রবীন হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আফসার আলী, সদস্য আহম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হাসানসহ অন্যান্যরা।