মেসির বিশ্বকাপ জিতে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে না : মারাদোনা

225

সমালোচকদের কাছে আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনা সুপারস্টার লিওনেল মেসির প্রমাণ করার কিছু নেই বলে মনে করেন তার স্বদেশি ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনা। ক্লাব ফুটবলে সবকিছুই জিতেছেন মেসি। তবে জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপার দেখা পাননি পাঁচ বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার। বেশ কয়েক বার সাফল্যের খুব কাছে গেলেও অধরা থেকে গেছে ট্রফি। ২০০৫ সালে জাতীয় দলে মেসির অভিষেক হওয়ার পর তিনবার কোপা আমেরিকার রানার্স-আপ হয় আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে জার্মানির কাছে হারে তারা। সমালোকদের মতে, কেবল ক্লাব ফুটবলে সাফল্য নয়, জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে পারলেই নিজেকে সেরাদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে মেসি। তবে এসব সমালোচনা আমলে না নিতে এই ফরোয়ার্ডকে পরামর্শ দিলেন ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক মারাদোনা। “আমি মেসিকে খেলা চালিয়ে যাওয়ার, উপভোগ করার পরামর্শ দেবো। সে বিশ্বকাপ জিতুক বা নাই জিতুক সমালোচকদের ব্যাপারটা তাকে ভুলে যেতে হবে।” “তাকে কিছু দেখানোর দরকার নেই। মাঠে তাকে খেলাটা উপভোগ করতে হবে।” মেসির সঙ্গে নিজের তুলনা প্রসঙ্গে নাপোলি ও বার্সেলোনার সাবেক তারকা খেলোয়াড় মারাদোনা বলেন, “সে বাঁ পায়ে খেলে, খেলতে পছন্দ করে। আমার বয়স ৫৭, আমার দিকে তাকাওৃআমি শেষ হয়ে গেছি।”
“তবে আমি এখনও বলে কিক করতে চাই। আমি মনে করি, এই দিক থেকে আমরা অনেকটাই একই রকম।”
বাছাইপর্বে মেসির উপর ভর করেই রাশিয়া বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার টিকিট পেয়েছে আর্জেন্টিনা। বলা যায়, ১৯৮৬ সালের পর দলটির আবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা অনেকটা নির্ভর করছে আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়ের উপর।
রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার তিন প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া।
হোর্হে সাম্পাওলির দলের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মারাদোনা বলেন, “আমি সাম্পাওলিকে জানি না। আমি জানি না, সে কিভাবে খেলে। তবে আমি অনেক খেলোয়াড়কে জানি। আমি জানি তারা সবটুকু দিয়ে খেলবে। আমি মনে করি, তাদের ভালো একটা সুযোগ আছে।” “তবে আমি ফেভারিট হিসেবে (আর্জেন্টিনাকে) বেছে নেবো না। কারণ, ফেভারিট দল কখনও জিতে না।”