প্রাণ হারানো সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্রাজিলের ক্লাবটিকে আমন্ত্রণ জানায় বার্সেলোনা।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা; কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন মেসি। পরের মিনিটে গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেস।
ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বাঁ-দিকে বল বাড়ান ইভান রাকিতিচ, ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন এ মৌসুমেই কাম্প নউয়ে ফেরা জেরার্দ দেউলোফেউ। পাঁচ মিনিট পর প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সের্হিও বুসকেতস।
২৭তম মিনিটে মেসির দারুণ ফ্লিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। তবে আর্জেন্টাইন তারকাকে আটকে রাখতে পারেনি তারা। পরের মিনিটে স্প্যানিশ উইঙ্গার দেউলোফেউয়ের বাড়ানো বল উঁচু শটে জালে পাঠান দলের সেরা তারকা।
৪৩তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। আর ৪৫তম মিনিটে সুয়ারেসের বিদ্যুৎ গতির ভলি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক ব্রাজিলের এলিয়াস কুরজেল।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান সুয়ারেস। মেসির পাস ধরে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।
৭৪তম মিনিটে দলের পঞ্চম গোলটি করেন দেনিস সুয়ারেস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মেসির সোজাসুজি পাস ধরে একটু এগিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
এরপরই একসঙ্গে মেসি, সুয়ারেস, রাকিতিচ, বুসকেতস, আলেইশ ভিদাল ও জেরার্দ পিকেকে তুলে নেন কোচ ভালভেরদে।
৮৯তম মিনিটে স্পটকিকে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পাকো আলকাসের। ডি-বক্সের মধ্যে নেলসন সেমেদো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটা পেয়েছিল বার্সেলোনা।
প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ গাম্পের ট্রফির গত সংষ্করণে ইতালির ক্লাব সাম্পদোরিয়াকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা।
বার্সেলোনার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক খেলোয়াড় ও সভাপতি জুয়ান গাম্পেরের নামানুসারে এই ম্যাচের আয়োজন করে বার্সেলোনা; এবার এই ট্রফির ৫২তম সংস্করণ হলো।