মেসির কারণেই বার্সেলোনা ছেড়েছেন কুতিনহো!

118

কাগজে-কলমে এখনো তিনি বার্সেলোনার খেলোয়াড়। কিন্তু ২০১৯-২০ মৌসুমে কাতালানদের জার্সিতে দেখা যাবে না ফিলিপ্পে কুতিনহোকে। বার্সা থেকে ধারে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার। কিন্তু ব্রাজিলের সাবেক তারকা রিভালদো অবশ্য খুশি হতে পারেননি কুতিনহোর ক্যাম্প ন্যু ছাড়ায়। ২৭ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ানের ক্লাব ছাড়ার পেছনে মেসিকেই দায়ী করলেন তিনি। ২০০২ সালের বিশ্বকাপজয়ী সেলেকাও তারকা নিজেও খেলেছেন বার্সেলোনায়। নিজের পেশাদার ফুটবলের সেরা সময়টা তিনি কাটিয়েছেন ক্যাম্প ন্যুয়ে। তবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে উত্তরসূরীকে জার্মানিতে পাঠানো ‘হতাশ’ করেছে রিভালদোকে। বেটফেয়ার নামের এক গণমাধ্যমকে রিভালদো বলেন, ‘আমি সবসময় বিশ্বাস করি কুতিনহোর বার্সেলোনায় সফল হওয়ার জন্য সক্ষমতা ছিল। কিন্তু তার আগেই দু’দলের মধ্যে তাকে ট্রান্সফার নিয়ে সব বন্দোবস্ত হয়ে গেল। দলে নিয়মিত একাদশে তার জায়গা পেতে ব্যর্থ হওয়ায় আমি কিছুটা হতাশ ছিলাম। সম্ভবত সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল এবং অসুখী ছিল, তাই সে পুনরায় নিজের সেরাটা খুঁজে পেতে আরেকটি বড় ক্লাবে যোগ দিল।’ একটু পরেই কুতিনহোর বায়ার্নে যাওয়া নিয়ে মেসিকে দায়ী করার কারণটা খোলাসা করলেন সাবেক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, ‘দলে আপনার জায়গাটা খুঁজে পাওয়া সহজ নয় যেখানে লিওনেল মেসি সফলতার সব কৃতিত্ব ও দায়িত্ব নিজে নিয়ে নেয়। পৃথিবীতে খুব অল্প খেলোয়াড় আছে যারা এমন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে। সম্ভবত দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য কুতিনহোর সেই যথেষ্ট ধৈর্য ছিল না।’

‘আর্জেন্টাইন তারকা দলনেতা এবং তিন-চার বছরের অধিক ধারাবাহিকভাবে নিজের সেরা খেলাটা খেলছে, তাই অন্যান্য খেলোয়াড়দের বার্সেলোনায় জ্বলে ওঠাটা কঠিন’, যোগ করেন রিভালদো।

২০১৮ সালে লিভারপুল ছেড়ে বার্সেলোনায় নাম লেখান কুতিনহো। কিন্তু অ্যানফিল্ডের ফর্মটা ক্যাম্প ন্যুয়ে আনতে পারেননি তিনি। কাতালানদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় অধিকাংশ সময় তার বেঞ্চে কেটেছে। শেষ পযর্ন্ত বার্সা তাকে ১২০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বায়ার্নে পাঠিয়েছে।