মুস্তাফিজের খরুচে বোলিং: টানা দ্বিতীয় জয়

প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের দল দুবাই ক্যাপিটালস।

গতরাতে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দুবাই ক্যাপিটালস ৯ রানে হারিয়েছে আবুধাবি নাইট রাইডার্সকে। আগের ম্যাচেও নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৮৩ রানে জিতেছিল দুবাই। ঐ ম্যাচে বল হাতে ২২ রানে ২ উইকেট নিলেও, এবার ৪ ওভারে ৪৭ রান খরচায় ১ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

দুবাইয়ের আবুধাবিতে নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় দুবাই। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়ে দুবাইকে লড়াইয়ে ফেরান যুক্তরাষ্ট্রের শায়ান জাহাঙ্গীর ও ইংল্যান্ডের জর্ডান কক্স। ৩০ বলে ২৯ রান করে থামেন কক্স। তবে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় গিয়ে আউট হন জাহাঙ্গীর। ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি তিনি। ১৯তম ওভারে আউটের আগে ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫৪ বলে ৯৯ রান করেন জাহাঙ্গীর।

পরের দিকে রোভম্যান পাওয়েলের ২৪ বলে ৩৮ ও অধিনায়ক দাসুন শানাকার ৪ বলে ১০ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৬ রান করে দুবাই ক্যাপিটলাস। নাইট রাইডার্সের জেসন হোল্ডার ও আন্দ্রে রাসেল ২টি করে উইকেট নেন।  জবাবে স্বীকৃত ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১১১ রানে ৭ উইকেট হারায় নাইট রাইডার্স। অষ্টম উইকেটে ২০ বলে ৪৬ রান তুলে দলকে লড়াইয়ে ফেরান রাসেল ও হোল্ডার। ৩টি ছক্কায় ৯ বলে ২২ রান করা হোল্ডারকে দলীয় ১৫৭ রানে শিকার করে জুটি ভাঙ্গেন মুস্তাফিজ।

তারপরও নাইট রাইডার্সকে জয় এনে দিতে চেষ্টা করেছিলেন রাসেল। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ৪০ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি রাসেল। ফলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৭ রান তুলে হারের লজ্জা পায় নাইট রাইডার্স। ফলে বিফলে যায় ৪টি করে চার-ছক্কায় ৩৩ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করা রাসেলের ইনিংসটি। দুবাইয়ের ওয়াকার সালামখিল ৩টি ও ডেভিড উইলি ২ উইকেট নেন।  এ ম্যাচে মুস্তাফিজ প্রথম তিন ওভারে যথাক্রমে- ৭, ৮ ও ১৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। নিজের শেষ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তিনি।