মুগ্ধ ইয়ান বিশপ নাহিদ রানায়

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হঠাৎ করেই সুযোগ পান নাহিদ রানা। হাসান মাহমুদের বিশ্রাম আর পেসার তানজিম হাসান সাকিবের ইনজুরির কারণে দলে জায়গা পেলেও ভিসা জটিলতায় শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাত পাড়ি দিতে পারেননি তিনি। মিস করেছেন প্রথম ওয়ানডে। তবে শেষ ম্যাচে তাসকিনকে বিশ্রাম দিয়ে ঠিকই রানাকে প্রমাণ করার একটা সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজেমেন্ট। আর সেই সুযোগটাকে দারুণ কাজে লাগিয়েছে রানা। এক ম্যাচেই টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে টাইগার ভক্ত এমনকি বিদেশি এক্সপার্টদেরও মন জয় করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই স্টিড স্টার। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই রানার হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরু থেকেই দারুণ গতিতে বল করেন রানা। তার তৃতীয় ডেলিভারির স্পিড ছিল ১৪৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার। শারজাহর স্লো উইকেটেও গড়ে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারের ওপরে বোলিং করেছেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ। ম্যাচের অষ্টম ওভারে করা দ্বিতীয় বলটি ছিল সবচেয়ে গতিময়। ১৫০ দশমিক ৯ কিলোমিটার গতিতে ছিল সেই ডেলিভারিটি। যা বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের করা দ্রুততম বল। ওই ওভারের চতুর্থ বলেই সাদিকউল্লাহকে বোল্ড করে প্রথম ওয়ানডে উইকেটের স্বাদ পান রানা। বলটা ছিল ১৪৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার গতির। শুধু গতিই নয়, তার বোলিংয়ে ছিল নিখুত ইনসুইংও। ৫ ওভার ১৩ রান ১ উইকেট। এটাই ছিল নাহিদ রানার প্রথম স্পেল। কম রান দেয়ার পাশাপাশি উইকেট নিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় গতিতে সবসময় কাবু করে রেখেছেন আফগান ব্যাটারদের। নাহিদের ৫ ওভার দেখেই মুগ্ধ হয়েছেন ক্যারিবিয়ান সাবেক পেসার ও জনপ্রিয় ধারাভাস্যকার ইয়ান বিশপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রানাকে ফিট রাখতে বিসিবিকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিশপ লেখেন, বাংলাদেশকে এখন থেকেই সাবধানী হতে হবে, উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের যে সামর্থ্য আছে, তার মধ্য থেকে সেরা স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ নিয়োগ দিতে হবে নাহিদ রানা ও তাদের পেস বোলিং গ্রুপের জন্য। রানার গতি খুবই প্রশংসনীয়। পরের ৫ ওভারেও সফল ছিলেন রানা। গুলবাদিন নাইবের উইকেটও পেয়েছেন তিনি। ১০ ওভার শেষে ৪০ রান ও এক মেডেনে শিকার করেন দুই উইকেট। সিরিজ হারের দুঃখের দিন নাহিদ রানাই হয়ত দলের জন্য বড় প্রাপ্তি।