মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের বিনা বেতনে শিক্ষার সুযোগ প্রদান বিবেচনাধীন

138

ভর্তিসহ বিনা বেতনে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের পড়ালেখার সুযোগ প্রদান সংক্রান্ত বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি আরো জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে কোনো উদ্যোগে প্রয়োজনবোধে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সার্বিক সহায়তা প্রদান করবে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, সকল শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারে নূন্যতম যোগ্যতা থাকার শর্তে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে। যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়া সুযোগ প্রদান। এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ সুবিধা প্রদানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি স্মারকমূলে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে এক লাখ ৮৯ হাজার ৩১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানিত ভাতা দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছর হতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ১২ হাজার সম্মানিত ভাতাসহ দু’টি উৎসব ভাতা ১০ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর হতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীগণকে রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ ভাতা জনপ্রতি দুই হাজার টাকা এবং ভাতাপ্রাপ্ত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় দিবস ভাতা জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ১২ হাজার ১৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সম্মানিত ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সনদ পাইনি এমন মৃত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুতই ডিজিটাল (স্থায়ী সনদ) দেওয়া হবে।