মিসবাহর আরেকটি ‘৯৯’

244

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টোনের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মিসবাহ-উল-হক। ক্রিকেট-জীবনের শেষ টেস্টে এসে ব্রিজটাউনে আরও একটি ৯৯ রানের আক্ষেপ সঙ্গী তাঁর। ক্রিকেটাররা সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। কিন্তু মিসবাহ ‘রেকর্ড’ গড়লেন ৯৯ রানে আটকে যাওয়ার। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনবার ৯৯ রানের আক্ষেপে পুড়তে হলো পাকিস্তানের বিদায়ী টেস্ট অধিনায়ককে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৩৯৩ রানে অলআউট হয়ে লিড পেয়েছিল ৮১ রানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিন শেষে লিডটাকে নামিয়েছে ৪১ রানে। প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়রা গুটিয়ে গিয়েছিল ৩১২ রানে।
মিসবাহ সেঞ্চুরি না পেলেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন আজহার আলী। আজহার-মিসবাহ’র ৮১ রানের জুটিই ওপেনিংয়ে (আহমেদ শেহজাদ ও আজহার আলী) ১৫৫ রান তোলার পর মাত্র ৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কাটা সামলে উঠতে সাহায্য করে পাকিস্তানকে। দলীয় সংগ্রহটা ১৫৫ থেকে ১৬১ হতেই ফিরে যান শেহজাদ, বাবর আজম ও ইউনিস খান। বিপর্যয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে দলকে নির্ভরতা দেন আজহার ও মিসবাহ। ২৭৮ বল খেলে, ৯ চারে ১০৫ রান করেন আজহার। মিসবাহর ৯৯ রানের ইনিংসটি ছিল ২০১ বলে, ৯টি চার ও ২টি ছক্কায়।
দলের ২৫৯ রানের মাথায় আউট হন আজহার। মিসবাহ ফেরেন ৩১৬ রানের মাথায়। মিসবাহর আউটের সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি বিপর্যয় সঙ্গী হয় পাকিস্তানের। ৩ উইকেটে ৩১৬ থেকে ৭ উইকেটে ৩২৯ রানে পরিণত হয় তারা। শেষ দিকে ইয়াসির শাহর ২৪, শাদাব খানের ১৬ আর মোহাম্মদ আমিরের ১০ রানে পাকিস্তানের সংগ্রহটা চার শোর কাছাকাছি (৩৯৩) পৌঁছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার ছিলেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ৮১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন জেসন হোল্ডার ও দেবেন্দ্র বিশু।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৮ রানেই ফিরে গেছেন কাইরন পাওয়েল। দিন শেষে ২২ রানে অপরাজিত আছেন শিমরন হেটমায়ার। কার্লোস ব্রাফেট ৮ রানে। পাওয়েলের উইকেটটি পেয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস। সূত্র: ক্রিকইনফো।