মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ
থাইল্যান্ডে ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। এ প্রতিযোগিতার মূল পর্ব যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অনলাইন ভোটিং। কারণ, এই ভোটের ওপরই নির্ভর করছে কোন দেশ কত শক্তিশালী অবস্থানে শুরু করবে প্রতিযোগিতা। পিপলস চয়েসে আজকেই শেষ হচ্ছে ভোট। বাংলাদেশের মানুষ চাইলেই তাকে পিপলস চয়েসে বিজয়ী করতে পারেন। মিথিলা বলেন, ‘পিপলস চয়েসে বাংলাদেশের হয়ে এক নম্বরে ছিলাম, এখন দুই নম্বরে বাংলাদেশ। বুধবার (আজ) শেষ দিন। আশা করি, আবার বাংলাদেশ এক নম্বরে যাবে। মানুষের ভালোবাসা থাকলে কিছুই সম্ভব। মিস ইউনিভার্স অ্যাপে গিয়ে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে ‘গেট ভোট’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘পিপলস চয়েস’ সেকশনে তানজিয়া জামান মিথিলা নির্বাচন করে প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে আরও ভোট দেওয়া সম্ভব। পিপলস চয়েসে ১ নম্বরে থাকলে সরাসরি সেরা ৩০-এ পৌঁছে যাবেন মিথিলা। এর আগে সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেন, ‘২০২০ সালে আমি ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হয়েও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে পারিনি, কভিডের কারণে। সেটা ছিল এক অপূর্ণতা। এবার সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পেয়েছি।
আমি চাই, পৃথিবী জানুক– বাংলাদেশ থেমে নেই। আমরা এগোচ্ছি, সাহস নিয়ে, মর্যাদা নিয়ে। বিশ্বের সুন্দরীদের মঞ্চে বাংলাদেশের পতাকা পত পত করে উড়ুক। তাই আমার দিক থেকে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি আছে। আছে জয়ের আত্মবিশ্বাসও। পাশাপাশি দেশবাসীর দোয়া ও আশীর্বাদ তো আছেই। ২১ নভেম্বর ঘোষণা হবে চূড়ান্ত ফলাফল। মিথিলা জানালেন, ‘এটা একটা প্রতিযোগিতা। আমি শতভাগ আশা নিয়ে এখানে এসেছি। মুকুট জয়ের সব যোগ্যতা বাংলাদেশের রয়েছে। আমার লক্ষ্য একটাই–বাংলাদেশের নামটা বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল করা। তবে ফলাফল যা–ই হোক, আমি খুবই খুশি। কারণ, দেশের মানুষ আমাকে ভালোবাসছে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। এই পাওয়া নিয়েই আগামী পথচলা শুরু করব। তানজিয়া জামান মিথিলা শুরুতে ছিলেন র্যাম্প মডেল। ২০১৯ সালে ভারতীয় পরিচালক হায়দার খানের ‘রোহিঙ্গা’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক। একই বছরে ‘ফেস অব বাংলাদেশ’ এবং ‘ফেস অব এশিয়া’-এ মুকুট জেতেন। পরে ২০২০ সালে নির্বাচিত হন ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’।