মাহিদুলের ৬ ছক্কা, শেষ ৫ ওভারে রান ৮৪
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ক্রিজে আসলেন। আর জয় করলেন। ঝড় তুললেন ব্যাট হাতে। বিষয়টা ঠিক এমনই হলো মিরপুরের ২২ গজে। শুরুর ৩ বলে রান নিলেন ১। এরপর যা করলেন তা রীতিমত চমকে দেওয়ার মতো। ছক্কার বৃষ্টি নামিয়ে মাত্র ১৮ বলে করলেন ফিফটি। যেখানে ছিল ১ চার, ৬ ছক্কা। তার দোর্দণ্ড প্রতাপে শেষ ঝড়ে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে খুলনার রান পৌঁছে গেল ২০৩-এ। গতকাল প্রথম দিনে দুই ম্যাচে রান ১৯০ হয়েছিল। তৃতীয় ম্যাচে দুইশ পেরিয়ে গেল দলীয় রান।
মাহিদুল ২২ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ওপেনার উইলিয়াম বসিসটো ৫০ বলে ৭৫ রান করেন ৮ চার ও ৩ ছক্কায়। দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটিতেই খুলনার ইনিংসের শেষের চিত্র পাল্টে যায়। মাত্র ৩৫ বলে দলীয় সংগ্রহে ৮৬ রান যোগ করেন দুজন। এর আগে খুলনা টাইগার্সের পঞ্চম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রান ছিল ২৮। ব্যাটসম্যান ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও ইব্রাহিম জাদরান।
চিটাগং কিংসের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার শুরুটা ভালো ছিল। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৬ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পঞ্চম ওভারে তার ইনিংসটি থামান আলিস আল ইসলাম। তিনে নামা মিরাজ আলো ছড়াতে পারেননি। ১৮ বলে ১৮ রানে থেমে যায় খুলনার অধিনায়কের ইনিংস। ইব্রাহিম জাদরান ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। আফিফের ইনিংস থেমে যায় ৮ রানে। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ধীর স্থির থেকে রান তুলছিলেন বসিসটো। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ৩৬ বলে তুলে নেন বিপিএলের প্রথম ফিফটি। এরপর মারমুখী ব্যাটিংয়ে পরের ১৪ বলে আরও ২৫ রান যোগ করেন।
চিটাগং কিংসের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। শরিফুল ছিলেন বিবর্ণ। ৪৭ রানে ছিলেন উইকেটশূন্য।