মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ঝড় : শান্তর সেঞ্চুরি

400

প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে শুরুর দিকেই করে ফেলেছেন চার সেঞ্চুরি। কিন্তু লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ছিল না একটিও। সেই অপূর্নতা ঘোচালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে উঠল ঝড়। পারটেক্সের মাঝারী সংগ্রহ আবাহনীর কাছে হয়ে গেল মামুলি!ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সোমবার বিকেএসপিতে পারটেক্স স্পোটিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা জিতল লিগের প্রথম দুই ম্যাচই।আগের ম্যাচে তিনশ ছুঁইছুঁই রান তাড়ায়ও জিতেছিল আবাহনী। এবার সেই ম্যাচের জয়ের নায়ক উইকেটে যাওয়ার আগেই কার্যত ম্যাচ শেষ। শান্ত ও মাহমুদউল্লাহর জুটিই দলকে জয়ের কাছে নিয়ে গেছেন। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মোসাদ্দেক সেরেছেন আনুষ্ঠানিকতা।আবাহনীর বোলারদের মধ্যে এককভাবে জ¦লে উঠতে পারেননি কেউ। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা পারটেক্সকে বেধে রাখে ২৩৪ রানে।ইরফান শুক্কুর ছাড়া পারটেক্সের টপ ও মিডল অর্ডারে সবাই রান পেয়েছেন। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেনি কেউ। ওপেনিংয়ে ৪১ বলে ৪৪ করে ফিরেছেন সাজ্জাদ হোসেন। অধিনায়ক তারিক বা ভারকীয় যশপাল সিং, দুজনই ফিরেছেন থিতু হয়ে।অর্ধশত রানের জুটি হয়েছে কেবল একটি। ইনিংসের একমাত্র অর্ধশতক করেছেন জুবাইর আহমেদ। ছয়ে নেমে অপরাজিত ৫০।২৩৫ রান তাড়ায় ভারতীয় উদয় কাউলকে শুরুতেই হারায় আবাহনী। ২০ রান করে ফেরেন লিটন দাসও। তবে আবাহনী হারবে, এমনটি মনে হয়নি একবারও।তৃতীয় উইকেটে ১০৬ বলে ১৫০ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। ধ্বংসযজ্ঞের কাজটা করেছেন মূলত মাহমুদউল্লাহই। ৫২ বলে ৭৭ রান করেছেন আবাহনী অধিনায়ক। ৫ চারের সঙ্গে ছক্কা তিনটি।মোসাদ্দেককে নিয়ে বাকি কাজটুকু শেষ করেছেন শান্ত। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭২। তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবার অপরাজিত ১০৯ বলে ১০১ রানে। ৫টি চারের সঙ্গে ছক্কা চারটি!
২৪ বলে অপরাজিত ২৩ মোসাদ্দেক। শিরোপা ধরে রারখার অভিযানে আগুয়ান আবাহনী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স: ৫০ ওভারে ২৩৪/৭ (শুক্কুর ১, সাজ্জাদ ৪৪, তারিক ২৫, যশপাল ৩৩, শাহানুর ১৯, জুবাইর ৫০, জাকারিয়া ২৫, রাজিবুল ৮, মাসুম ১৩*; তাসকিন ১/৪৬, সাইফুদ্দিন ২/৫৬, শুভগত ২/৪৫, সানজামুল ১/৩০, সাকলাইন ০/৪৮, মাহমুদউল্লাহ ০/২)।
আবাহনী: ৩৮.৩ ওভারে ২৩৭/৩ (উদয় ৯, লিটন ২০, শান্ত ১০১*, মাহমুদউল্লাহ ৭৭, মোসাদ্দেক ২৩*; মামুন ১/২০, মাসুম/৪৫, হাফিজ ১/২৭, রাজিবুল ১/৩২, শাহানুর ০/২৯, যশপাল ০/২৮, জুবাইর ০/১১, জাকারিয়া ০/৩৭, সাজ্জাদ ০/৭)।
ফল: আবাহানী ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাজমুল হোসেন শান্ত