মাশরাফি নিজের পারফরম্যান্সকে আত্মসম্মান হিসেবে দেখে

268

অভিজ্ঞতার ওজন আছে। স্কিলেও অন্যান্যের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ। এসবের বাইরেও আছে আরও অনেক কিছু। ভালো করার তীব্র ক্ষুধা, নিজেকে ফুটিয়ে তোলার তাড়না। কোর্টনি ওয়ালশের মতে, এই সবকিছু মিলিয়েই বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনন্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় দেড় যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। সময় আর চোটের ছোবলে কমেছে গতি। অনেক ক্ষেত্রে কমেছে ধার। কিন্তু খুব একটা কমেনি কার্যকারিতা। বাস্তবতা তাকে যখনই উপহার দিয়েছে কঠিন সময়, মাশরাফি লড়াই করে বের করেছেন উপায়।
শুধু কোনো রকমে টিকে থাকাই নয়, মাশরাফি লড়াই করেছেন সেরাদের কাতারে থাকার। জিতে চলেছেন সেই লড়াইয়ে। এখনও তিনি ওয়ানডেতে দেশের সেরা বোলার। এই সংস্করণে বাংলাদেশের সবসময়ের সর্বোচ্চ শিকারিই শুধু নন তিনি, এই দফায় অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সফলতম তিনিই। এই প্রায় চার বছরে ৫১ ম্যাচে নিয়েছেন ৭১ উইকেট। এ সময়টায় দুইয়ে থাকা সাকিব আল হাসান দুই ম্যাচ বেশি খেলে উইকেট নিতে পেরেছেন ৫টি কম।
মাশরাফির এই জয়যাত্রার অনেকটুকু ওয়ালশের চোখের সামনেই। বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্বে সম্প্রতি দুই বছর পূর্ণ করেছেন ওয়ালশ। এই দুই বছরেও ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মাশরাফি। ৩০ ম্যাচে নিয়েছেন ৪১ উইকেট। এই সময়টায়ও দুইয়ে সাকিব, এক ম্যাচ বেশি খেলে তার উইকেট ১০টি কম!
কাছ থেকে দেখে দেশের অন্য পেসারদের সঙ্গে মাশরাফির পার্থক্যগুলো ভালোভাবেই চোখে পড়েছে ওয়ালশের। শনিবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে বললেন নিজের উপলব্ধির কথা।
“ম্যাশের অভিজ্ঞতা ও ওর স্কিলসেট অন্যান্যের থেকে অনেক আলাদা। আরও ভালো। বরাবরই সে দারুণ এক ফাস্ট বোলার। ইনজুরি না থাকলে এখনও হয়ত সে টেস্ট ক্রিকেট খেলত। আমি এখানে আসার পর প্রথমে ওকে এটাই বলেছিলাম, ‘এখনও তো তুমি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারো!’ কিন্তু ইনজুরির কারণে সব সংস্করণ খেলতে পারছে না। অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশের জন্য যে খুবই উঁচু মানের পেস বোলার।”
“আমি মনে করি, সে যতটা করতে পারে, তার পুরোটাই সে করতে চায়। তরুণদেরও এই ক্ষুধা থাকতে হবে। আমরা কেবল আড়াল থেকে কাজ করতে পারি। কিন্তু তরুণদের মাঠে নেমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে হবে। ম্যাশ তার পারফরম্যান্সকে আত্মসম্মান হিসেবে দেখে। সেখানেই আমি মনে করি অন্যান্যের সঙ্গে বড় পার্থক্য। সে তার ক্ষুধাটা ফুটিয়ে তোলে, সে পারফর্ম করতে চায়, ভালো করতে চায়, লড়াই করতে চায়।”