মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন পুতিন

338

রাশিয়ার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার চেষ্টা করেছিল। সেই প্রতিষ্ঠানের ওপর পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক বিশেষ প্রতিবেদনে মার্কিন নির্বাচনে পুতিনের প্রভাব বিস্তারের এই প্রচেষ্টার কথা জানিয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক-বর্তমান ৭ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এসব কথা জানিয়েছে তারা। ওই কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় থাকা ওই রুশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নাম রাশিয়ান ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ। পুতিনের দফতর থেকে নিয়োগ পাওয়া এক সাবেক পররাষ্ট্র গোয়েন্দা কর্মকর্তা এখন ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছেন। মার্কিন প্রশাসনের ওই সাত কর্মকর্তা রয়টার্সের কাছে দাবি করেন, গত জুনে প্রথমবারের মতো একটি নথি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। সেই নথিতে সুনির্দিষ্ট কোনও দিক নির্দেশনা ছিল না। তবে নথিতে একটি প্রচারণা কর্মসূচি চালানোর কথা বলা হয়েছিল। মার্কিনিরা যেন রাশিয়ার প্রতি সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন, সে উদ্দেশ্যেই ওই প্রচারণা চালাতে বলেছিল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ। সাবেক ও বর্তমানের ওই ৭ কর্মকর্তার দাবি অনুযায়ী জুনে প্রথম নথিটি প্রকাশিত হওয়ার পরে অক্টোবরে আরেকটি নথি প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন নির্বাচন জিততে যাচ্ছেন। এজন্য রাশিয়ার ট্রাম্পের সমর্থনে কাজ করা উচিত। পরে তারা ক্লিনটনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেন। নথি দুইটি মার্কিন গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই ৭ কর্মকর্তা। তবে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে নথিগুলো সংগ্রহ করেছে সেই কথা জানাননি তারা। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন শুরু থেকেই মার্কিন নির্বাচনে তার নিজের কিংবা তার দেশের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে রাশিয়ান ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ নামের ওই রুশ প্রতিষ্ঠানটি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। ওবামা প্রশাসন দাবি করেছিল, রাশিয়া ডেমোক্রটিক পার্টির বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালিয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারাদের দাবি অুনযায়ী পুতিন নিজেই সেই প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিলেন। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতেই ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছে রোডম্যাপ চেয়েছিলেন। তবে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বরাবরই এই প্রভাবের কথা অস্বীকার করে আসছেন। ট্রাম্পের দাবি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কোনও রুশ সংযোগ ছিল না। চলতি কংগ্রেসনাল ও এফবিআই তদন্তেও অবশ্য ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ সংশ্লিষ্টতার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ মেলেও নি।