মারা গেছেন গায়ক অ্যারন কার্টার

80

মাত্র ৩৪ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় গায়ক ও র‌্যাপার অ্যারন কার্টার মারা গেছেন। অ্যারন ব্যাকস্ট্রিট বয়েজের নিক কার্টারের ছোট ভাই।

শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার ল্যাঙ্কাস্টারে বাড়ির বাথরুমে কার্টারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে কিভাবে এই গায়কের মৃত্যু হয়েছে এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন অ্যারন।

তার র‌্যাপ দলের সদস্যরা বলছে ‘এটি সত্যিই একটি খারাপ সময়। কী ঘটেছে এবং কী কারণে ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা। আমরাও সকলের মতোই বিচলিত। ’

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি পুলিশ খবর পেয়ে স্থানীয় সময় প্রায় রাত ১১টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আমেরিকার যুবসমাজে উন্মাদনা ছড়িয়েছিলেন তিনি। অ্যারনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বহু তারকা। মুষড়ে পড়েছেন সতীর্থরাও।

কার্টারের সফল একক ক্যারিয়ারও ছিল। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তার চারটি অ্যালবামের লাখ লাখ কপি বিক্রি হয়েছিল; যার মধ্যে প্রথম অ্যালবামটি প্রকাশের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর।

তার দ্বিতীয় অ্যালবাম অ্যারনস পার্টি (কাম গেট ইট) ২০০০ সালে মুক্তি পায় এবং ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে। এতে আই ওয়ান্ট ক্যান্ডি, অ্যারনস পার্টি (কাম গেট ইট) ও দ্যাটস হাউ আই বিট শাকের গানগুলো ছিল বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তিনি ব্যাকস্ট্রিট বয়েজ-এর কিছু গান এবং ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ‘আই ডিড ইট অ্যাগেইন ট্যুর’ গানটি কাভার করেছিলেন।

গাত্যক থেকে ধীরে ধীরে র‍্যাপ সঙ্গীত রপ্ত করেন কার্টার। মাদকদ্রব্য সেবন ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে। এ বছরের শুরুর দিকে তিনি ডেইলি মেইলকে বলেছিলেন, তিনি আর তার ক্যারিয়ার এলোমেলো দেখতে চান না।

২০২১ সালে জন্মগ্রহণ করে কার্টারের ছেলে প্রিন্স। কার্টারের মৃত্যুর পর তাঁর বাগদত্তা প্রেমিকা মেলানি মার্টিন বলেন, “বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা এখনও সামলে উঠতে পারিনি। কী ভাবে ঘটল জানি না। আপনারা সবাই প্রার্থনা করুন। ”