মারাত্মক আহত পুত্রকে নিয়ে যা জানালেন কুমার বিশ্বজিৎ

দুই বছর আগে বরেণ্য সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমার কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত এক বছর ধরে দেশটির মিসিসাগার একটি রিহ্যাব সেন্টারে আছেন নিবিড়। কুমার বিশ্বজিৎ এখন কানাডায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এই সংগীতশিল্পী। পুত্র নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “খুবই ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। এতটাই ধীরে হচ্ছে যে, এটাকে কোনোভাবেই অনেক বেশি অগ্রগতি বলা যাবে না। বছরখানেক ধরে রিহ্যাবে আছে। এখানে স্পিচথেরাপি, ফিজিওথেরাপি, স্টিমিউলেটেড থেরাপি চলছে। স্বাভাবিক জীবনের জন্য যা যা করণীয়, সবই করার চেষ্টা হচ্ছে।” এখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না নিবিড়। তা জানিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “প্রতিদিনই নিবিড়কে বাইরের পরিবেশ দেখানোর চেষ্টা চলে। এখনো কিছু শারীরিক সমস্যা আছে। নিজের পায়ে এখনো দাঁড়াতে পারে না। মাঝেমধ্যে মেশিনের মাধ্যমে দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হয়। চিকিৎসকেরা বলেছেন, কিছু কিছু মাসল পাজম জায়গায় আছে। কথা বলার ব্যাপারটা কবে কখন হবে, কেউ বলতে পারেন না।” নিবিড়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ব্যাখ্যা করে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “ডাকলে নিবিড় তাকায়। ঘাড় ডানে-বাঁয়ে ঘোরায়। মাঝেমধ্যে হাত-পা নিজে থেকে নাড়ে। খাবারদাবার কৃত্রিম উপায়ে দিতে হয়। শরীরে এখন অক্সিজেন দিতে হয় ২ পারসেন্ট। এই ২ পারসেন্ট অক্সিজেন ছাড়াই নিবিড় সাত-আট ঘণ্টা থাকতে পারে। এটাই বা কম কিসে!” নিবিড় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে, তা নিয়ে আশাবাদী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “নিবিড়কে অনেক ওষুধ দিতে হয়, যার জন্য সার্বক্ষণিক নার্স দরকার। ইনএনটি সাপোর্টও দরকার। নিবিড় যেখানে আছে, ওদের রিহ্যাবে সাফল্যের হারও ভালো। এমনও আছে যে এ ধরনের রোগী পাঁচ বছর রিহ্যাবে থাকার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে। আমরা যেমন আশাবাদী, রিহ্যাবের ওরাও আশাবাদী। এখন দেখা যাক, কী হয়।” ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। টরন্টো পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, টরন্টো নগরীর অদূরে মিসিসাগা এলাকায় ৪২৭ হাইওয়ে ও ডানডাস ইন্টারসেকশনের সন্নিকটে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরিয়ান আলম দীপ্ত, শাহরিয়ার খান ও অ্যাঞ্জেলা বারৈ নামের ৩ বাংলাদেশি ছাত্র নিহত হন। নিবিড় কুমার এখনো চিকিৎসাধীন।