মাদক মামলার বিচার চলবে পরীমনির বিরুদ্ধে

49

বৃহস্পতিবার ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমনির (শামসুন্নাহার স্মৃতি) বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলা বাতিলের আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক নজরুল ইসলাম এ মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন পরীমনির সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার। চার্জ শুনানিকালে তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন। এর পর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। এর পর তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এর পর আদালত চার্জ গঠনের আদেশ দেন। পরে পরীমনি হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট একই সালের ১ মার্চ মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুলসহ আদেশ দেন। রুলে এ মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ রুলের ওপর গত বছরের ২৪ আগস্ট শুনানি শেষ হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পি। ২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকালে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর সড়কে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। মাদকের মামলায় পরীমনির ৫ আগস্ট চার দিন ও ১০ আগস্ট দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর ১৯ আগস্ট আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ২১ আগস্ট আবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন তিনি কারামুক্ত হন। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন।