মশা তাড়ানোর ঘরোয়া কিছু উপায়
সারাদেশে মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশার কামড়েই এ বছর চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। সুস্থ ও নিরাপদে থাকতে ঘরের ভেতর-বাহির, ফুলের টব, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিকল্প নেই। পাশাপাশি মশা তাড়াতে ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চলতে পারেন।
মশা তাড়াতে কর্পূরের ওপর ভরসা করতে পারেন। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের টুকরা একটি ছোট পাত্রে রেখে পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি ঘরের কোণে রেখে দিন। দুদিন পরপর পানি পরিবর্তন করুন। কর্পূরের গন্ধ মশা একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই এটি ঘরে থাকলে মশা দূর হয়।
কর্পূরের মতো নিমের গন্ধও মশা সহ্য করতে পারে না। আশপাশে নিমগাছ থাকলে কয়েকটি নিমপাতা সংগ্রহ করে ঘরের কোণে রেখে দিন। এতে মশার উপদ্রব কমে যাবে। নিম তেল গায়ে মাখলেও মশার কামড় থেকে রেহাই পাবেন।
মশা তাড়াতে কয়েকটি রসুনের কোয়া থেঁতলে পানিতে দিয়ে সেদ্ধ করুন। চাইলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে পারেন। এবার রসুন মেশানো পানি ঘরের বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে করুন। অল্প সময়েই মশা পালাবে।
লেবু মাঝামাঝি করে কেটে, কাটা লেবুর ভেতরের অংশে অনেক লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর টুকরাগুলো পাত্রে রেখে ঘরের এক কোণে রেখে দিন। চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফল পাবেন।
মশাসহ যে কোনো পোকামাকড় তাড়াতে পুদিনা পাতার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। একটি গ্লাসে অল্প পানি নিয়ে তাতে পাঁচ থেকে ছয় গাছি পুদিনাপাতা রেখে দিন। তিন দিন পরপর পানি বদলে দেবেন। পুদিনার গন্ধে অনেক ধরনের পোকামাকড় ঘরে আসবে না।
মশার হাত থেকে বাঁচতে গায়ে সুগন্ধি, আতর বা লোশন মাখতে পারেন। কেননা মশা সুগন্ধি খুব অপছন্দ করে। রাতে ঘুমানোর আগেও শরীরে লোশন মাখতে পারেন। বাজারে মশা নিরোধক লোশনও পাওয়া যায়। চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশুর গায়ে সে ধরনের লোশন লাগাতে পারেন।
ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে তা দিয়ে মশা তাড়াতে পারেন। চা-পাতা পোড়ালে যে ধোঁয়া হয়, তাতে ঘরের সব মশা, মাছি পালিয়ে যায়। কয়লা বা কাঠকয়লার আগুনে নিমপাতা পুড়িয়েও ঘরের মশা তাড়াতে পারেন।